মুজিববর্ষ উপলক্ষে জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশন আজ রবিবার সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হচ্ছে। এটি হবে একাদশ সংসদের দশম অধিবেশন। এই অধিবেশনের মূল উদ্দেশ্য বঙ্গবন্ধুর ওপর বিশেষ আলোচনা।
সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের (১) নং দফায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ গত ২১ অক্টোবর এই অধিবেশন আহ্বান করেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে গত মার্চ মাসে অধিবেশনটি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মহামারি করোনার প্রকোপের কারণে তখন তা স্থগিত করা হয়।
এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশন শেষ হয়। করোনাভাইরাসের কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নির্ধারিত সংসদ সদস্যদের নিয়ে চলে নবম অধিবেশন। প্রতি কার্যদিবসে ৭০-৮০ জন সংসদ সদস্যের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়। করোনাভাইরাসের কারণে মাঝখানে গ্যাপ দিয়ে-দিয়ে আসন বিন্যাস করা হয়।
তাছাড়া যারা অধিবেশনে যোগদান করেছেন তাদের প্রত্যেকের করোনা টেস্ট করানো হয়। করোনা নেগেটিভ সনদ নিয়েই অধিবেশনে যোগ দিতে হয় সংসদ সদস্য ও সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।
দশম অধিবেশনেও একই শর্ত বেঁধে দেয়া হয়েছে। এজন্য শুক্রবার সংসদ সদস্যসহ অধিবেশন সংশ্লিষ্ট সবার করোনা টেস্ট করা হয়েছে। করোনা নেগেটিভ সনদ নিয়ে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সংশ্লিষ্টদের অধিবেশনে যোগদান করতে হচ্ছে।
করোনা পরিস্থিতির কারণে বিগত দুটি অধিবেশনে সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকলে এই অধিবেশনে ৯ নভেম্বর সোমবার রাষ্ট্রপতির সংসদে ভাষণের সময় সীমিতসংখ্যক সাংবাদিককে সংসদ ভবনে উপস্থিত থেকে অধিবেশনের সংবাদ সংগ্রহ করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। অবশ্য অধিবেশনের অন্য কার্যদিবসে সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশনে সরসরি সম্প্রচারিত কার্যক্রম থেকে সংবাদ সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে।
এবারের অধিবেশন সংক্ষিপ্ত হওয়ার কথা রয়েছে। জানা গেছে অধিবেশন ৮ থেকে ১০ কার্যদিবস চলতে পারে। এর মধ্যে সোমবার থেকে পরবর্তী চার কার্যদিবস বিশেষ অধিবেশনের অর্থাৎ বঙ্গবন্ধুর ওপর আলোচনাসহ মুজিববর্ষের বিভিন্ন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে। বাকি কর্যদিবসে সংসদের সাধারণ কার্যক্রম চলবে বলে সংসদ সচিবালয় থেকে জানা গেছে।