• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫০ অপরাহ্ন

ছাত্রলীগ নেত্রীর সঙ্গে ভুয়া পুলিশ কর্মকর্তার পরিচয়ে সম্পর্ক গড়েন মামুন

রিপোর্টার : / ২০৮ বার পঠিত
আপডেট টাইম : রবিবার, ১৩ জুন, ২০২১

১৩ জুন ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে চাকরি হয়েছে—এমন পরিচয় দিয়ে ছাত্রলীগ নেত্রী নুসরাত জাহানের সঙ্গে সম্পর্ক গড়েন মামুন মিল্লাত। সুখের সংসার গড়ার আশায় মনের মানুষকে বিয়েও করেন নুসরাত। শুধু তাই নয়, ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলমানও হন। পরে জানতে পারেন মামুন একজন প্রতারক। পুলিশে তার চাকরি নেই। এরপরই দুজনের মধ্যে দাম্পত্য কলহ দেখা দেয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন নুসরাত।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সংসদ সচিবালয় কোয়ার্টার থেকে শনিবার এ তরুণীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে নুসরাতের স্বামী মামুন মিল্লাত পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে শেরেবাংলা থানার ওসি জানে আলম মুন্সী বলেন, নুসরাতের ময়নাতদন্ত হয়েছে। তার গায়ে আঁচড়ের চিহ্ন রয়েছে। লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

ওসি জানান, মামুন মিল্লাত নুসরাতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে আপসরফার প্রস্তাব দিয়েছেন। তার অবস্থান শনাক্ত করে পুলিশ গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে। মামুন পুলিশের কেউ নন। তিনি নুসরাতের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।

জানা গেছে, মামুন মিল্লাত নিজেকে পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে নুসরাতের সঙ্গে সম্পর্ক গড়েন। বিয়ের পর থেকে তারা ওই কোয়ার্টারে সাবলেটে বসবাস করে আসছিলেন।

পুলিশ জানায়, মামুন নুসরাতের সঙ্গে ঝগড়ার পর শনিবার বেলা ১১টার পর বাসার বাইরে চলে যান। এর ঘণ্টা-দেড়েক পর প্রতিবেশীরা নুসরাতকে ডাকাডাকি করে তার সাড়া পাননি। এ সময় সন্দেহ হলে এক প্রতিবেশী ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন।

পুলিশ জানায়, নিহত নুসরাত ছিলেন উপজাতি। তার বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলায়। ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের নেত্রী। মামুন মিল্লাতকে বিয়ের পর ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিম হন নুসরাত।

নুসরাতের স্বজনদের উদ্ধৃত করে পুলিশ জানায়, নুসরাত ২০১৯ সালে মামুন মিল্লাতকে বিয়ে করেন। বিয়ের আগে তার নাম ছিল নিবেদিতা রোজারিও। ওই সময় মামুন নিজেকে ৩৮তম বিসিএসের পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়েছিলেন। কিন্তু বিয়ের পর নুসরাত জানতে পারেন, মামুন মিল্লাত পুলিশ কর্মকর্তা নন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কলহ শুরু হয়, যা প্রতিদিনই লেগে থাকতো।

শনিবার বিকালে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে প্রতিবেশীদের ফোন পেয়ে পুলিশ বি-২ নম্বর কোয়ার্টারে গিয়ে বাসার দরজা ভেঙে তার লাশ উদ্ধার করে।

পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বাসার দরজা ভেঙে সিলিংফ্যানের সঙ্গে নুসরাতের গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় দেখতে পায়। লাশ উদ্ধার করে বিকালে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।

প্রতিবেশীরা জানান, শনিবার সকালেও তারা নুসরাত-মামুনের ঝগড়া শুনেছেন। তারা প্রায়ই ঝগড়া করতেন। গত তিন মাস ধরে ওই দুজন সাবলেট ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন।

তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার মো. শহীদুল্লাহ বলেন, পলাতক মামুন মিল্লাত পুলিশের কেউ নন। ধারণা করা হচ্ছে— তিনি প্রতারক। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, মামুন মিল্লাতের প্ররোচনায় ওই নারী আত্মহত্যা করতে পারেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

পুরাতন সংবাদ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১