• মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৪ অপরাহ্ন

চামড়া ব্যবসায়ীদের ঋণ পরিশোধের সময় বাড়লো

ডেস্ক রিপোর্ট / ২৩৫ বার পঠিত
আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২২ জুন, ২০২১

২২ জুন ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

চামড়া ব্যবসায়ীদের ব্যাংক ঋণ পরিশোধে আবারো বিশেষ ছাড় দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই বিশেষ সুবিধার আওতায় ঋণ পরিশোধের আবেদনের সময় আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এর আগে আবেদনের সময় ছিল ৩০ জুন পর্যন্ত।

মঙ্গলবার (২২ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনাটি সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট পাঠানো হয়েছে। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বিশেষ সুবিধার আওতায় চমড়া ব্যবসায়ীরা অন্য খেলাপিদের মতো মাত্র ২ শতাংশ টাকা জমা দিয়ে (ডাউন পেমেন্ট) ১০ বছরের জন্য তাঁদের ঋণ পুনর্গঠন, পুনঃ তফসিল বা এক্সিট সুবিধা দেওয়া যাবে। এ সুবিধা নিতে আগ্রহী চামড়া উদ্যোক্তাদের আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে হবে। এর আগে আবেদনের সময় ছিল ৩০ জুন পর্যন্ত।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, দ্বিতীয় দফায় কোভিড-১৯ এর বিরূপ প্রভাব বিদ্যমান থাকায় এবং আসন্ন ঈদুল আজহা উৎসবে কোরবানিকৃত পশুর কাঁচা চামড়া সংগ্রহ ও সংরক্ষণ কার্যক্রমের বিষয়টি বিবেচনান্তে উল্লিখিত এক্সিট অথবা পুনর্গঠন/পুনঃতফসিল সুবিধা গ্রহণে ইচ্ছুক গ্রাহক কর্তৃক ডাউন পেমেন্টের অর্থ নগদে জমাদান সাপেক্ষে আবেদন দাখিলের সময়সীমা আগামী সেপ্টেম্বর ৩০ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। সাভারের চামড়া শিল্পনগরীতে স্থানান্তরিত চামড়া শিল্প প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক ঋণ পরিশোধে বিশেষ সুবিধা আওতায় এ সময় বাড়ানো হয়েছে। তবে চলতি বছর ৬ জানুয়ারি জারি করা সার্কুলারের অন্যান্য বিষয় অপরিবর্তিত থাকবে।

ওই সময় জারি করা সার্কুলারে বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে চামড়া খাতের জন্য ঘোষিত বিভিন্ন নীতিমালার আওতায় যারা ঋণ পুনর্গঠন, পুনঃতফসিল, সুদ মওকুফ সুবিধা নিয়েছে, তারাও এ সার্কুলারের আওতায় সুবিধা পাবে। তবে জাল-জালিয়াতি বা অন্য কোনো ধরনের প্রতারণার মাধ্যমে ঋণ নেওয়া ঋণগ্রহীতারা এই সুবিধা পাবেন না। কোনও প্রতিষ্ঠান একবার সুবিধা নেওয়ার পর নির্ধারিত ছয়টি মাসিক কিস্তি বা দুটি ত্রৈমাসিক কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হলে এ সুবিধা বাতিল হবে।

চামড়া শিল্পনগরীতে স্থানান্তরিত যেসব প্রতিষ্ঠান ব্যবসা অব্যাহত রাখবে, তাদের ২০২০ সালের ঋণ স্থিতির ন্যূনতম ২ শতাংশ অর্থ ডাউন পেমেন্ট হিসেবে নগদে আদায় করে এ সুবিধা দেওয়া যাবে। এ প্রক্রিয়ায় সর্বোচ্চ এক বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ সর্বোচ্চ ১০ বছর মেয়াদে ঋণ পুনর্গঠন বা পুনঃতফসিল করা যাবে। বিদ্যমান বিধিবিধান ও আইনকানুন অনুযায়ী ব্যাংকার গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে স্থগিত সুদ, অনারোপিত সুদ ও দণ্ড সুদ মওকুফ বিষয়ে পর্ষদ সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। তবে কোনো অবস্থাতেই আসল ঋণ মওকুফ করা যাবে না। পুনর্গঠন করা ঋণ স্থিতির ওপর সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ হারে সুদ আরোপ করা যাবে। মওকুফ হওয়া সুদ পৃথক সুদবিহীন অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করতে হবে। পুনর্গঠন বা পুনঃতফসিলের শর্ত মোতাবেক সম্পূর্ণ ঋণ পরিশোধ হওয়ার পর পৃথক হিসাবে স্থানান্তরিত সুদ চূড়ান্ত মওকুফ হিসেবে বিবেচিত হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

পুরাতন সংবাদ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১