০৫ জুলাই ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ
করোনায় ‘লকডাউন’কে পুঁজি করে ইয়াবা হোম ডেলিভারি করে আসছিলেন অনিক হাসান ওরফে অনিক হাসান ওরফে হিরো অনিক। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে হিরো অনিককে তার সহযোগীরা ইয়াবা হোম ডেলিভারি করতে সহায়তা করতেন।
সোমবার (৫ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
এর আগে, সোমবার (৫ জুলাই) রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে টিকটক হৃদয় বাবুর অন্যতম সহযোগী ও মগবাজারের চিহ্নিত সন্ত্রাসী অনিক হাসান ওরফে হিরো অনিকসহ পাঁচজনকে আটক করেছে র্যাব-৩। অভিযানে তাদের কাছ থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগজিন, পাঁচটি ধারালো অস্ত্র, একটি চেইন, ৩০০ পিস ইযাবা, সাতটি মোবাইল ফোন ও নগদ ৩ হাজার ৪০০ টাকা।
আটক বাকি আসামিরা হলেন- মো. শহিদুল ইসলাম ওরফে এ্যাম্পুল (৩৪), আবির আহমেদ রাকিব (২২), মো. সোহাগ হোসেন আরিফ (৩৬) ও হিরা (২২)।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, হিরো অনিক ইয়াবার কারবার করতেন। এছাড়াও তিনি হাতিরঝিল এলাকায় তার সহযোগীদের নিয়ে ঘুরতে আসা মানুষ ও পথচারীদের আটকে ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতেন। হিরো অনিকসহ আটক সহযোগীদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তারা প্রত্যেকেই হত্যা ও মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধের দায়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে এর আগেও গ্রেফতার হয়েছিল।
তিনি বলেন, ভারতের কেরালায় নারী পাচারের ঘটনায় স্থানীয় পুলিশের কাছে গ্রেফতার হওয়া টিকটক হৃদয় বাবুর সঙ্গেও হিরো অনিকের সখ্যতা ছিল। হৃদয় বাবুকে বিভিন্ন সময় তিনি সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সহযোগিতা করতেন। এছাড়াও হৃদয় বাবুকে তিনি ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক সরবরাহ করতেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক হিরো অনিক জানান, রাজধানীর মগবাজার, হাতিরঝিল ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদককারবারি সিন্ডিকেটে মূলহোতা হিসেবে পরিচিত তিনি। তার নামে হত্যা মামলা, মাদক, অস্ত্র, ডাকাতি, চাঁদাবাজিসহ নয়টি মামলা রয়েছে। তার একটি গ্রুপ রয়েছে, যেখানে ২০ থেকে ২৫ জন সদস্য রয়েছেন। কিশোর অবস্থায় থাকা সময়ে অপরাধের সঙ্গে জড়িত হন তিনি।
তিনি বলেন, হিরো অনিক ২০১৬ সালে আলোচিত আরিফ হত্যা মামলার আসামি হিসেবে পরিচিতি পায়৷ হিরো অনিক মগবাজার, মধুবাগ, মীরবাগ, নতুন রাস্তা, পেয়ারাবাগ, চেয়ারম্যান গলি, আমবাগান ও হাতিরঝিল এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে মাদকের কারবার করতেন।
তিনি আরা বলেন, হিরো অনিকের সহযোগীদের কারো কোনো পেশা নেই। তারা হিরো অনিকের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতেন। শহিদুল ওরফে এম্পুলের নামে মাদক ও চুরির ছয়টি মামলা, আবিরে বিরুদ্ধে দুটি মামলা, সোহাগের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু অপহরণ, মাদক ও ডাকাতির তিনটি মামলা, এবং হিরার বিরুদ্ধে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত ও চুরির একটি মামলা রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা হিরো অনিক সিন্ডিকেটের বাকি সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনা করছি।