• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৩ পূর্বাহ্ন

‘হিরো আলম’র দাম ১২ লাখ টাকা!

ডেস্ক রিপোর্ট / ২০৮ বার পঠিত
আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই, ২০২১

০৮ জুলাই ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

আসন্ন কোরবানির ঈদ সামনে রেখে নতুন করে আলোচনায় এসেছে ‘হিরো আলম’। এর কারণ হলো টাঙ্গাইলের পশুর হাটে এবার উঠবে প্রায় চার বছর বয়সী ও ৩১ মণ ওজনের ‘হিরো আলম’ নামের একটি ষাঁড়। যার দাম হাঁকানো হচ্ছে ১২ লাখ টাকা। ষাঁড়টি লম্বায় সাড়ে ৮ ফুট আর উচ্চতা ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি।

টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার ফাজিলহাটী ইউনিয়নের বটতলা গ্রামের প্রবাসী কামরুজ্জামানের স্ত্রী জয়নব বেগমের খামারের গরু এই ‘হিরো আলম’।

প্রতি বছরের মতো এবারো কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য তিনটি গরু প্রস্তুত করেছেন জয়নব বেগম। তিনটির মধ্যে সবচেয়ে বড় ষাঁড় ‘হিরো আলমের’ ওজন প্রায় ৩১ মণ। ফ্রিজিয়ান জাতের এই ষাঁড়টি তিনি প্রায় দেড় বছর আগে পাবনা থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকায় কেনেন। এরপরই ষাঁড়টির নামকরণ করা হয় আলোচনার শীর্ষে থাকা ‘হিরো আলমের’ নামে।

‘হিরো আলমের’ নামে নামকরণ করাসহ বেশ বড় আকৃতির হওয়ায় স্থানীয়রা জয়নব বেগমের বাড়িতে ষাঁড়টি দেখতে ভিড় করছেন।

ষাঁড়টি এবার ঢাকার অন্যতম গাবতলী পশুর হাটে বিক্রির জন্য উঠানো হবে। এর দাম হাঁকা হচ্ছে ১২ লাখ টাকা। এর আগে জয়নব বেগমের খামার থেকে গত বছর বিক্রি হওয়া ষাঁড়টির নাম ছিল ‘সোনা বাবু’। সেটির ওজন ছিলো প্রায় ৩৫ মণ।

ঢাকার গাবতলীর হাটে গত বছর জয়নব বেগমের সোনা বাবুর দাম ৯ লাখ টাকা পর্যন্ত বলেছিলেন ক্রেতারা। ন্যায্যমূল্য না পেয়ে বাড়িতে ফেরত আনতে গিয়ে গাড়ি থেকে নামানোর সময় ওই ষাঁড়টির পা ভেঙে যায়। এরপর ষাঁড়টি তিন লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়। ওই সময় জয়নব বেগম বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হন।

খামারি জয়নব বেগম বলেন, প্রতি বছরই আমি কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য ষাঁড় তৈরি করি। এবারো তিনটি ষাঁড় তৈরি করেছি। খামারে সবচেয়ে বড় গরু ‘হিরো আলমের’ ওজন এখন প্রায় ৩১ মণ। তাকে প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে বড় করা হয়েছে। আমার পাশাপাশি শ্বশুর, শাশুড়ি, ননদ গরুগুলো লালন-পালনে সহযোগিতা করেন। বর্তমানে আমার স্বামীও দেশে এসেছেন। তিনিও গরুগুলো দেখাশোনা করছেন।’

জয়নব বেগমের স্বামী কামরুজ্জামান বলেন, গরু লালন-পালন করতে আমার খুব ভালো লাগে। প্রবাসে যাওয়ার আগে আমি নিজেই গরুর খামার করেছিলাম। আমি প্রবাসে থাকায় স্ত্রীকে দিয়ে প্রতি বছর কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য গরু প্রস্তুত করছি। এবারো তিনটি গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। ‘হিরো আলম’ নামের ষাঁড়টি সবচেয়ে বড়। তাকে এবার বিক্রি করা হবে। আমরা ষাঁড়টির দাম চাচ্ছি ১২ লাখ টাকা। ষাঁড়টি বিক্রি ও ন্যায্যমূল্য নিয়ে চিন্তিত তিনি।

দেলদুয়ার উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এনায়েত করিম বলেন, নিয়মিত ষাঁড়টি দেখাশোনা করা হচ্ছে। প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে লালন-পালন করছেন জয়নব বেগম। তার ষাঁড়টিই উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বড়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

পুরাতন সংবাদ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১