২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১,আজকের মেঘনা ডটকম, স্টাফ রিপোর্টার :
‘ মনের সাথে শরতের আকাশ ও আবহাওয়ায় প্রকৃতির অসাধারণ মিতালী। শীতল হাওয়া যখন বয়ে চলে বিস্তীর্ণ কাশবনের উপর তখন আকাশে সাদা কালো মেঘ আর মাঠে কাশফুলের ঢেউয়ের মৃদু ছন্দে উদ্বেলিত হয় হৃদয় । শরতের প্রতিচ্ছবি কাশফুল ঘিরে বিভিন্ন ভাবে উপস্থাপন করেছেন কবি লেখকরা। গ্রামের ছেলে মেয়েদের কাশবনে ছুটে বেড়ানোর দৃশ্য,আমরা সবাই কম বেশি দেখেছি। ওদের অবাধ ছুটে চলায় কাশফুল থুবড়ে পড়ার দৃশ্য,কিশোর- কিশোরীর মন ছুয়ে যায়। ভাদ্র-আশ্বিন জুড়ে শরতের রাজত্ব। বর্ষার শেষে প্রকৃতি “নববধূ” সাজে সজ্জিত হয়ে উঠে। তরুন -তরুনীর মাঝে আনন্দের ঝর্ণা ছড়িয়ে দেয় এই ঋতু। শরতের নিজস্বতা মিশে রয়েছে কাশফুলের সাথে । আকাশে সাদা মেঘের পালক উড়ে বেড়ানো প্রকৃতির এমন রূপের বাহারে প্রবল আবেগ আর উৎসাহ এসে জমা হয় কবি-সাহিত্যিকদের মনোজগতে, তাইতো শরত ও কাশফুলের বন্দনায় বিমুহিত ছিলেন রবিন্দ্রনাথ , কাজী নজরুল ইসলাম সহ অসংখ্য কবি লেখকরা। অসংখ্য গান ও কবিতায় শরতে বাংলার প্রকৃতি তুলে ধরেছেন। বাঙলার প্রকৃতিতে শরৎ আবিস্কার করে কাশফুলের কমল-ধবল রূপে জ্যোসনা-প্লাবিত রাতে জাগে স্বপ্নের শিহরণ। অনুপম রূপ সৌন্দর্যমণ্ডিত শরৎ ঋতু। শরতের মধ্যেই বাংলাদেশের হৃদয়ের সৌন্দর্যরূপ স্পর্শ মেলে। কবি জসীমউদ্দীন শরতকে তুলনা করেছেন “বিরহী নারী” সাথে। কাশ আর কুসুমে সজ্জিত শরৎ। শরৎ এলেই বাংলার পথে-প্রান্তরে বসে সাদা কাশের মেলা। এ সময়ে পাকা সড়কের দুপাশ সাদা কাশের মেলা বসে অনিন্দ্য রুপে রুপ নিয়েছে প্রকৃতি। এ সৌন্দর্য মুগ্ধ করেছে পুরো উপজেলা বাসীকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কাশফুলের ছবি ও ক্যাপশনে দেশ এবং প্রবাস থেকে হৃদয় স্পর্শী মুগ্ধতার বহিঃপ্রকাশ করেছেন বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ। একজন জনপ্রতিনিধি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন – ঋতুর রানী শরতের সবচেয়ে বড় অনুষঙ্গ কাশফুল! আকাশে ধবধবে সাদা মেঘের দল আর মাটিতে মৃদু বাতাসে দোল খাওয়া কাশফুল! যেন চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্য আর শুধুই মুগ্ধতা! কিছু ব্যক্তি কয়েক দিন পর আর এ দৃশ্য দেখতে পাবেননা বলে ব্যথিত মন্তব্য ও করেছেন। ভাইরাল হওয়া এলাকাটি ঢাকা -চট্রগ্রাম মহাসড়কের ভাটের চর -মেঘনা উপজেলা সংযোগ সড়ক, মেঘনা উপজেলার প্রবেশদ্বার কুমিল্লা অর্থনৈতিক অঞ্চল -২,( মেঘনা গ্রুপ) বালু ভরাট মাঠ নজরকাড়া সৌন্দর্য রুপে সজ্জিত ।
সড়কের দুপাশে শরতের প্রতিচ্ছবি কাশফুল ফুটে নান্দনিক সৌন্দর্যে রুপ নেয় মেঘনা উপজেলা প্রবেশদ্বার। সৌন্দর্য উপভোগ করতে স্থানীয়দের পাশাপাশি দূর দূরান্ত থেকে প্রকৃতি প্রেমীদের আনাগোনা। আঞ্চলিক সড়কের দুপাশে এমন সৌন্দর্য মুগ্ধ করে পথচারীদের। সৌন্দর্য বর্ধন ও নিরাপত্তার জন্য বসানো হয়েছে সোলার প্যানেল।
দিনের চেয়ে রাতে আরও বেশি মুগ্ধ হয় পথচারী ও ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা। সম্প্রতি এক পুলিশ কর্মকর্তা রাতে কর্তব্য পালন করতে প্রবেশ দ্বারে গেলে মুগ্ধতার বহিঃপ্রকাশ করেছেন,তিনি বলেন আমার কাছে মনে হয় আমি ঢাকা – মাওয়া মহাসড়কে যাতায়াত করছি। দু’ধারে ধবধবে সাদা কাশফুলের ঢেউ উপরে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে আলোকিত করায় নান্দনিকতায় সৃষ্টি হয়েছে নতুন মাত্রা।