০৭ ডিসেম্বর ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ওসমান গনি গজারিয়া প্রতিনিধিঃ
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা হাজার হাজার কৃষকরা যেন তাদের সব সম্বল হারিয়ে ফেলেছে পথে বসেছে। আলু চাষের জন্য জমিতে আলু রোপন থেকে চাষ শুরু করে দিয়েছিলো গত মাসেই। তাদের কারো কারো জমিতে আলু রোপণ করে ফেলেছে এবং কারো কারো জমিতে তারা হাল চাষ করে সার জমিতে ছিটিয়ে দিয়েছে হাজার বিঘা আলু চাষ যুক্ত জমিতে। এমত অবস্থায়,প্রাকৃতিক দুর্যোগ”জাওয়াদের” নিম্নচাপের কারণে বাংলাদেশর প্রায় প্রতিটি জেলার পানি স্বাভাবিকের তুলনায় দুই থেকে পাঁচ ফিট পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।এমত অবস্থায় মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা সহ বিভিন্ন উপজেলায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে অস্বাভাবিক হারে। বাংলাদেশের ভিতরে মুন্সিগঞ্জ আলুর জন্য বিখ্যাত মুন্সিগঞ্জ।মুন্সীগঞ্জের প্রতিটি উপজেলাতে কম বেশি আলু চাষ হয়।বিগত এক মাস আগে থেকেই আলু রোপন শুরু হয়ে গেছে মুন্সিগঞ্জ জেলার প্রতিটি উপজেলায়।
বর্তমানে আলুর চাষ শুরু আছে প্রতিটি উপজেলায়। মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলায় এখন আরো এক মাস আগে থেকেই আলু রোপন শুরু হয়েছিলো। গজারিয়ার প্রতিটি ইউনিয়নেই এখন কৃষক আলু রোপনে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করিতেছে।তাদের কিছু কিছু জমিতে আলু রোপন হয়েছে, কিছু জমিতে রোপন কাজ চলিতেছে,কিছু জমিতে আলু রোপনের জন্য জমিতে সার ছিটানো এবং হাল চাষ হয়েছে। এমন সময় গত ২ ডিসেম্বার থেকে প্রাকৃতিক দূর্যোগ” জাওয়াদ” এর প্রভাবে অস্বাভাবিক হারে নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে।উক্ত বৃদ্ধি পানির কারনে আলু রোপনে উপযোগী জমি গুলোতে পানি উঠে পড়েছে।এমতো অবস্থায় কৃষকের জমিতে ছিটানো লাখো লাখো টাকার সার পানির সাথে মিশ্রিত হয়ে চলেগেছে। হালচাষ ছিলো তাও নষ্ট হয়েগেছে। মুন্সিগঞ্জের একাধিক আলু রোপন কৃত জমিতে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ এর কারণে টানা বৃষ্টি এবং অতিরিক্ত পানি বৃদ্ধি পেয়ে জমিতে প্রবেশ এবং জমাট বেধে আলুর চারার ব্যাপক হারে ক্ষতি করেছে বলে জানান গজারিয়া আলু চাষী সাধারন কৃষকেরা।তারা জানান তারা কৃষি জমিতে যে সব আলু রোপন করে ফেলেছে সে সব জমির আলু সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যাবে বলে আমাদের জানান।তারা কেউ সে রকম ধনী না,তারা প্রায় সকলেই দার লোন এর মাধ্যমে কৃষিকাজ আলু চাষ করেছে বলে জানান। গজারিয়া উপজেলার একাধিক কৃষকের সাথে আলোচনা করে জানিতে পারি,গতবছর তারা আলু চাষ করে তেমন লাভ করিতে পারেনে। তার উপর যারা হিমাগারে আলু রেখেছে তাদের লাভের তুলনায় লোকসান গুনিতে হয়েছে অনেক।
গজারিয়া উপজেলার টেংগারচর ইউনিয়নের আলুচাষী মোঃ লুৎফর রহমান,মোহম্মদ হোসেন,শাহাআলী,মোঃমীর্জা এমটাই জানান।মোঃ লৎফর জানান তার বর্তমানে নয় লক্ষো টাকা লোকসান হয়েছে। টেংগারচর গ্রামের কৃষকদের সাথে আলু প্রশংঙ্গে আলোচনায় জড়ালে জানিতে পারি, এককানী(৩৬শতাংশ) জমিতে আলু চাষ করিতে তাদের খরচ পরে (২৫/৩০)হাজার টাকা।সে আলোকে মুন্সিগঞ্জ সহ গজারিয়া প্রতিটি ইউনিয়নে শত শত হেক্ট আলুর জমির মালিক এ ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের কারনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যা কয়েক কোটি টাকার উপরে ধারনা করা হচ্ছে ।যে সকল জমিতে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের কারনে এবং টানা বিগত দিনের বৃষ্টির পানির সাথে জোয়ারের পানি প্রবেশ করেছে সে সকল জমিতে আলু চাষের নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে দশ থেকে পনের দিন সময় বেশি লাগিবে জানিয়েছেন আলু রোপন কারি কৃষকগন। এমতো অবস্থায়,আমাদের মাধ্যমে তারা সরকারের নিকট আবেদন জানান, তাদের আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি তাদের সার বীজ প্রদান এবং গজারিয়ার কৃষকদের পাশে মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসন এবং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের সাহায্য চেয়েছেন ভুক্তভোগী হাজারো আলুচাষী কৃষক।