মেঘনা প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি মো. ইব্রাহীম খলিল মোল্লা’র ছোট ভাই আব্দুস সালামকে মারধরসহ প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে নিরাপত্তা চেয়ে গত বুধবার ২৮ ফেব্রুয়ারী দুইজনের নাম উল্লেখ করে মেঘনা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আব্দুস সালাম। অভিযোগকারীরা হলেন- চন্দনপুর ইউনিয়নের সিবনগর গ্রামের আব্দুল আউয়াল মিয়ার ছেলে মো. সাগর (২৩) ও একই এলাকার মনির হোসেনের ছেলে মো. নাজমুল (২৬)।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার ২৬ ফেব্রুয়ারী দুপুরের দিকে পূর্বের মত-বিরোধিতার জেরে আব্দুস সালামকে মো. সাগর ও নাজমুল হোসেন জনৈক ছেলু কবিরাজের বাড়ির সম্মুখে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। একপর্যায়ে গালমন্দ না করায় বাধা দিতে গেলে একা পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে অতর্কিত চর-থাপ্পড় ও শরীরের বিভিন্ন অংশে কিল-ঘুষিসহ লাত্থি মেরে নীলা ফুলা জখম করে মাটিতে ফেলে দেয়। পরে আব্দুস সালামের চিৎকার শুনে আশেপাশের মানুষজন এসে তাকে প্রাণে উদ্ধার করে। এরপর তাকে কোথাও একা পেলে কুপিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এলাকাবাসী কয়েকজনের কাছে তাদের ব্যাপারে জানতে চাইলে তারা বলেন, এই এলাকায় তারা কিশোর গ্যাং নামে পরিচিত। তারা লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে বিভিন্ন মহল্লায় অনিয়মে ও মাদকের সঙ্গে জড়িয়ে দাবড়ে বেড়াচ্ছে।
এ দেশে ২০১২ সাল থেকে কিশোর গ্যাং নামক একটি সন্ত্রাসী সংস্কৃতির অস্তিত্ব আবিষ্কৃত হলে এরপর থেকে তারা এ পথে জড়িয়ে যায়। তারপর থেকে এলাকায় এভাবেই চলছে তাদের তৎপরতা!
ভুক্তভোগী আব্দুস সালাম জানায়, আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তারা আমাকে যে কোনো সময় পথেঘাটে একা পেলে মেরে ফেলতে পারে। আমি কর্ম করে জীবিকা নির্বাহ করি, একা চলাফেরা করাই স্বাভাবিক। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমিসহ আমার পরিবারের কোনো সদস্যের কিছু হলে তারা দুইজন দায়ী থাকবে। এমনকি থানা পুলিশ অভিযোগ পেয়েও আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
এদিকে অভিযোগের ১৪ দিন অতিবাহিত হলে তদন্তকারী পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম এর নিকট আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি মুঠোফোনে এই সংবাদকর্মীকে বলেন, আসলে জিনিসটা আমি দেখি নাই বা আমার কাছে কাগজটা এখনো আসে নাই। সম্ভবত অফিসে রয়ে গেছে।
এ বিষয়ে মেঘনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন এর নিকট ফোন করে পাওয়া যায়নি।