১১ জুন ২০১৯, বিন্দুবাংলা টিভি. কম ,
জকিগঞ্জ(সিলেট)প্রতিনিধি:: জকিগঞ্জের বারহালের শাহবাগ এর এলাকার মেধাবী ছাত্র শাফায়াত রশীদ চৌধুরী(রাশেদ)কে হত্যার চেষ্টায় জড়িত সন্ত্রাসীদের হামলার প্রতিবাদে ও দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে শাহবাগের সর্বস্থরের জনসাধারণের উদ্যোগে এক বিশাল মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।শাহবাগ স্কুল এন্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মাওলানা কমর উদ্দিন এর সভাপতিত্বে ও জকিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুল আমিন ও ছাত্রনেতা মাহফুজ খানের যৌথ পরিচালনায় উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও স্কুল কলেজসহ প্রায় ১৫ টি ব্যানার নিয়ে একাত্মতা পোষন করে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় অংশ গ্রহণ করেন বলে জানা গেছে।এর মধ্যে রয়েছে,কানাইঘাট ডিগ্রি কলেজ, বারহাল ডিগ্রি কলেজ,শাহবাগ মৌলভী ছাইর আলী উচ্চ বিদ্যালয়,বারহাল ছাত্র পরিষদ,শাহবাগের সর্বস্থরের জনসাধারণ,শাহবাগের ধর্মপ্রাণ মুসলমান,পরচক ফ্রেন্ডশিপ ক্লাব,বালিটেকা আদর্শ যুব সমাজকল্যাণ সংস্থা,শাহবাগ প্রবাসী ট্রাস্ট,নিড ফর সোসাইটি,সহ আরও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন।মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত হয়ে প্রতিবাদ জানান সিলেট মহানগর যুবলীগ এর আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য,বারহাল ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের বারবার নির্বাচিত ইউপি সদস্য,বারহাল ইউনিয়নের নির্বাচিত প্যানেল চেয়ারম্যান ও শাহবাগ হাই স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বডির শিক্ষানুরাগী সদস্য,তরুণ উদীয়মান সমাজসেবী,বারহাল তথা সিলেটের রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনের অতি পরিচিত মুখ সুমন আহমদ চৌধুরী।অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত হয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন,পরচক ফ্রেন্ডশিপ ক্লাবের সভাপতি রেজায়ুল করিম,সাবেক জকিগঞ্জ উপজেলা যুবলীগ নেতা ও বর্তমান যুক্তরাজ্য প্রবাসী ও শাহবাগ প্রবাসী ট্রাস্টের প্রতিনিধি দেলওয়ার হোসাইন,বারহাল ছাত্র পরিষদের সভাপতি ছদিওল হোসাইন,জকিগঞ্জ উপজেলা শ্রমিকলীগের সাবেক সহ সভাপতি জামাল উদ্দিন,জকিগঞ্জ উপজেলা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন রশীদ খান,বারহাল ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামিলীগ সভাপতি হাজী সফিকুল হক,৮ নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার আলেখ উদ্দিন,সাবেক ইউ/পি সদস্য ফয়জুল ইসলাম খছরু,আব্দুল মালিক ললু মিয়া,রফিকুল হক,আব্দুস ছাত্তার,খলিলুর রহমান,মাওলানা ইলিয়াছ আহমদ,নজমুল হোসেন,সিরাজ উদ্দিন,আব্দুল কাদির খান হাসনুসহ নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।এছাড়াও মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় স্কুল, কলেজ,এলাকাবাসীসহ বিভিন্ন শ্রেণী প্রেশার কয়েক শতাধিক সাধারণ মানুষ অংশ গ্রহণ করে।সবার চোঁখে মুখে ছিল প্রতিবাদের চাপ,দাবি একটাই এমন নৃশংস হত্যাচেষ্টা বারহালে আর কোনদিন ঘটেনি।দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার পূর্বক আইনের আওতায় আনার জন্য জকিগঞ্জ উপজেলা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করে প্রশাসনের উর্ধতন কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করা হয়।জকিগঞ্জ থানার রেকর্ডকৃত মামলা সূ্ত্রে জানা যায় খেলা নিয়ে পূর্ব বিরোধের জের ধরে গত ২২/০৫/২০১৯ইং তারিখ রাশেদ নিজ এলাকার মসজিদ থেকে তারাবির নামাজ পড়ে বের হন পথে ওৎপেতে থাকা আসামীরা রাশেদকে বেআইনিভাবে ঘেরাও করে ধাঁরালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোঁপাতে থাকে।তার আর্তচিকারে মসজিদ থেকে বের হয়ে তার পিতাসহ কয়েকজন এগিয়ে গেলে পিতার উপরও হামলা করে ধূত আসামীরা পালিয়ে যায়।পরে কোনমতে বেঁচে যাওয়া রাশেদকে গুরুতর জখমি অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে প্রথমে তার অবস্থার অবনতি হয়।অবশেষে দীর্ঘ অপারেশন শেষে কিছুটা উন্নতি হলেও এখনও গুরুতর আহত রাশেদ জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছে বলে জানা গেছে।কিন্তু বেঁচে গেলেও রাশেদের পঙ্গুত্ব তাড়া করছে সুস্থ হতে অনেক দিন সময় লাগতে পারে বলে হাসপাতালের একটি সূত্র থেকে জানা যায়।বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমসহ সোস্যাল মিডিয়ায় ব্যায়াপক আলোচনার সৃষ্টি হয় এবং ঘটনার অনেকদিন পেরিয়ে গেলেও জকিগঞ্জ থানা পুলিশ এখনো কোন আসামি গ্রেফতার করতে পারে নি!আরো জানা যায় জকিগঞ্জ উপজেলার শাহবাগ মহিদপুরের আব্দুল মুমিন চৌধুরীর ২য় পুত্র রাশেদ বর্তমানে কানাইঘাট ডিগ্রি কলেজে অধ্যয়নরত আছে,সে পূর্বে মৌলভী ছাইর আলী উচ্চবিদ্যালয় ও বারহাল ডিগ্রি কলেজের প্রাক্তন ছাত্র ছিল।