১৯ জুন ২০১৯,আজকের মেঘ.. কম, হোমনাসংবাদদাতা :
কুমিল্লার হোমনায় মো. জালাল মিয়া(২৩) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে ৫ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে । সে বাগমারা গ্রামের মুফতি মো. নুরুজ্জজামানের ছেলে । গতকাল সোমবার বিকেলে এই ঘটনা ঘটে।
ওই ছাত্রীর বাবা মো. ইব্রাহিম গতকাল সোমবার বাদী হয়ে ধর্ষক জালাল মিয়া, তার পিতা, ভাই ও বন্ধুসহ ৪ জনকে আসামী করে হোমনা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। হোমনা থানা মামলা নং-০৮, তারিখ – ১৭/৬/২০১৯। এ মামলায় তাৎক্ষণিকভাবে আবু সালেহ(১৮) নামের একজন আসামীকে আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে ধর্ষকসহ অন্যান্য আসামীরা পলাতক রয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে ছাত্রীটির ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে ।
মামলা ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে মেয়েটি পূর্বে ধর্ষকের বাবা মো. নুরুজ্জামানের প্রতিষ্ঠিত মহিলা মাদ্রাসায় লেখাপড়া করতো। মাদ্রাসায় লেখাড়ার সময় জালাল মিয়া মেয়েটিকে প্রেমনিবেদনসহ বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করতো। গতবছর মাদ্রাসা ছুটির সময়ও একবার ছেলেটি বিভিন্নভাবে ফুসলিয়ে মেয়েটিকে মাদ্রাসার একটি কক্ষে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ ঘটনা মেয়েটির পরিবার জানতে পারলে মেয়েটির বাবা জালাল মিয়ার অভিভাবকদের কাছে বিচার চেয়ে বিচার না পেয়ে লোকলজ্জার ভয়ে থানায় জানাজানি বা কোনো দেনদরবারও করেননি। ফলে বাধ্য হয়ে মেয়েটির পরিবার মেয়েটিকে বাগমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি করিয়ে দেয়। সর্বশেষ গতকাল সোমবার বিকেল ৩ টার দিকে বাগমারা গ্রামের নুরজ্জামানের ছেলে জালাল মিয়া বাগমার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির এই ছাত্রীটিকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলিয়ে তার বাড়ির দোতলায় নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে ছাত্রীটি বাড়িতে ফিরতে দেরি হলে তার মা এসে তার সহপাঠিদের সহযোগিতায় জালাল মিয়ার বাড়ির দোতালায় তার কক্ষ থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
এ দিকে গ্রামবাসির উদ্যোগে ধর্ষক জালাল মিয়া গংদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছে । আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বাগমারা বাজার এলাকায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে ও প্রতিবাদ কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন পৌর কাউন্সিলর মো. আবুল হোসেন, হোমনা থানা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির আহবায়ক মো. আবদুস সালাম ভূইয়া, আথলীগ নেতা আবদুল আউয়াল, মো. কবির হোসেন, নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজগর আলী, পৌর মেয়র অ্যাড. মো. নজরুল ইসলাম, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মো.ফজলে রাব্বী, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাছিমা আক্তার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আসামী গ্রেফতারে আশ্বস্ত করেন।