২৩ জুন ২০১৯, আজকের মেঘনা ডটকম, এম এইচ বিপ্লব সিকদার : চিকিৎসা সেবা পাওয়া জনতার মৌলিক অধিকার। সে লক্ষ্যেই সরকার কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে স্থানীয় ভাবে হাসপাতাল তৈরি করেছেন। ভালো ভালো চিকিৎসক নিয়োগ দিয়েছেন, বিনা মুল্যে ঔষধ পাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন, প্রশিক্ষিত ডিগ্রি ধারী নার্স নিয়োগ দিয়েছেন। কোথাও কোথাও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না,থাকলেও যে কোন উপয়ায়ে ব্যবস্থা করা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের কাজ। সারা দেশের অবস্থা বলছিলা শুধু মেঘনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর কথা বলছি। বহির্বিভাগ ডিমে তালে চললেও আন্ত : বিভাগ নাজুক অবস্থা। সরেজমিনে তদন্ত করে দেখা গেছে ডাক্তার যারাই আছেন সিন্ডিকেট ডিউটি, রোগী হাসপাতালে না আসা এবং ডাক্তারদের ভাষ্যমতে তাদের জীবনের নিরাপত্তা নিয়েও তারা সঙ্কিত। সুইপার, নাইট গার্ড না থাকা, হাসপাতালের পরিবেশ এতই নোংরা যে ডাক্তাররা নিজেরাই অসহনীয় অবস্থায় রয়েছে। বাংলাদেশের প্রতিটি স্বাস্থ কমপ্লেক্সে রোগি বারান্দায় রেখেও চিকিৎসা দিচ্ছেন এত চাপ রোগির কিন্তু মেঘনার বেলায় বিষয়টি ব্যতিক্রম জনগন সু চিকিৎসার আস্থা পাচ্ছেনা বলে হাসপাতাল বিমূখ হয়ে পড়েছে। বেপারটা এমন হয়ে গেছে যে ছোট বাচ্চা কুলে নিতে পছন্দ করে সবাই কিন্তু যখন অভ্যাস হয়ে যায় বাচ্চাটি অন্যের কোলে যেতে পছন্দ করেনা তখন কোলে নেওয়া ব্যক্তিটিও একটা সময় বিরক্ত হয় তখন বাচ্চাটিকে চিকুনে চিমটি কাটে ফলে কান্না করে এমন দু তিনবার করার পর সেই বাচ্চাটি ঐ কোলে যায়না , যাওয়ার আগেই কান্না করে। ঠিক মেঘনার হাসপাতালের অবস্থা টাও একই রকম, রোগির কাছে ডাক্তার মনিবের মতই উল্টো পাল্টা নেতীবাচক আচরণ মেঘনা বাসীকে হাসপাতাল বিমূখ করে ফেলেছে। স্বাস্থ কর্মকর্তা যিনি আছেন তিনি খুব উচ্চমান সম্পন্ন ব্যক্তিত্বের অধিকারী মিডিয়া, সাংবাদিক পাত্তাই পায়না, সব ম্যানেজ করে চাদাবাজীর অভিযোগ এনে মামলা ঠুকে দেওয়ার ভিতি দেখান, বিগত দিনে এমন ঘটনা ঘটেছে, জি ডি,, ও তিনি করেছেন। ফলে মিডিয়া কর্মীরাও ওনার কাছে তুচ্ছ। কোন তথ্য তিনি কাউকে দিতে নারাজ। অফিস সহকারী যিনি আছেন তিনি সব সময় স্যারের দোহাই দিয়ে এড়িয়ে যান,।তবে পরিবার পরিকল্পনা সেক্ট সেক্টর টি আমার দৃষ্টিতে খুবই ভালো প্রশংসা পাওয়ার মত। তাদের কর্মদক্ষতা অনেক প্রসংশা পাওয়ার যোগ্য। কোটি টাকা ব্যয়ের অপারেশন থিয়েটার যন্ত্রপাতি ঝকঝকে ছিলো তেমন কোন ব্যবহার হয় বলে মনে হয় না। শুধু কর্মকর্তাদের উপর দোষ চাপিয়ে পার পাওয়া যাবেনা। স্বাস্থ্য সেবা পাওয়া জনতার মৌলিক অধিকার সরকার মুটামুটি সব ব্যবস্থা করে দিয়েছে এর সঠিক তদারকি না থাকায় আজ হাসপাতাল টি রুগ্ন। আমার জানামতে জনপ্রতিনিধি আর কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে পরিচালনা বোর্ড থাকে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে। আমাদের মেঘনার হাসপাতালে ছিলো বা আছে। তাদের কি দায়িত্বের মধ্যে,পড়েনা? মেঘনা হাসপাতাল গল্প এখন সবাই জানে, স্বদিচ্ছা থাকলে স্থানীয় প্রভাব মুক্ত করে উর্দতন কর্তৃপক্ষের নিকট জানালে খুব শিগগিরই সমাধান সম্ভব। যদি শর্ষের ভিতরে ভূত না থাকে,। মর্মাহত হই সরকারের কঠোর নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার লক্ষ্যে খেটে খাওয়া মানুষ গুলো রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে হয় ! এটা কি আমাদের লজ্জা না,? এটা পাওয়া তাদের অধিকার। ব্যবস্থাপনা অনিয়ম থাকলে সমন্বয় করে সঠিক তদারকি করা,জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনের নৈতিক দায়িত্ব । আশাবাদী এই সব সমস্যা গুলো আমলে নিয়ে, জনগণের মৌলিক অধিকার স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করবেন কর্তৃপক্ষ । লেখক, এম এইচ বিপ্লব সিকদার , সদস্য – ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, জাতীয় প্রেসক্লাব, সাধারণ সম্পাদক মেঘনা উপজেলা প্রেসক্লাব।