৭ জুন ২০২০, আজকের মেঘনা ডটকম, আবদুল হক, নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ: রূপগঞ্জে অপহনের তিনমাস পর মাছের খামারে সিমেন্টের প্রলেপ দেয়া
পাথর অবস্থায় ড্রাম থেকে হেকমত আলীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় গতকাল সোমবার সংবাদ সন্মেলন করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা পিবিআই পুলিশ। এ ঘটনায় আসামি রফিকুল ইসলাম সবুজ নারায়ণগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতের বিচারক মিল্টন হোসেনের কাছে ব্যবসায়ী হেকমত আলী হত্যায় জড়িত মুল ঘাতক হিসাবে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
জানা যায় বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) দুপুরে এশিয়ান হাইওয়ে (বাইপাস) সড়কের পাশে উপজেলার কুশাবো এলাকার একটি মাছের খামারে ইট,বালি, সিমেন্টের প্রলেপ দেয়া পাথর অবস্থায় বন্ধ ড্রাম থেকে হেকমত আলীর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহত হেকমত আলী উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার কালাদি এলাকার মৃত কদম আলীর ছেলে। নারায়ণগঞ্জ পিবিআইয়ের এসপি এ আর এম আলিফ জানান, গত ৪ এপ্রিল সকালে হেকমত আলীকে অপহরণ করা হয়। পরিবারের সদস্যরা আত্মীয়-স্বজনসহ বিভিন্ন স্থানে খোজাখুজির পর গত ১৪ এপ্রিল হেকমত আলীর স্ত্রী রোকসানা বেগম বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি অপহরণ ও গুমের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি তদন্ত করার জন্য আমাদের দেয়া হয়। পিবিআই পুলিশ আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার ও আসামী রফিকুল ইসলাম সবুজকে নিবিরভাবে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করে। তবে জিজ্ঞাসাবাদে আসামী রফিকুল ইসলাম সবুজ হত্যাকান্ডের ঘটনা স্বীকার করেছে এবং তাকে শ্বাসরোধে হত্যাকান্ড একাই ঘটিয়েছে বলে দাবি করেছেন। ঘটনার আগে হেকমত আলীকে ফোন করে আসামীর সবুজ নিজ বাড়ীতে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর গলায় গামছা পেছিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হেকমত আলীর সাথে ব্যবসায়ীক ধন্ধ ছিলো বলে আসামী সবুজ স্বীকার করেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম ও কাঞ্চন পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম রফিক। এ ঘটনার পর ঘাতকের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী। এদিকে পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তা এস আই আবু সায়েম জানিয়েছেন এ ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কিনা আমারা তদন্ত করে দেখছি। সংবাদ সন্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পিবিআইয়ের এসপি এ আর এম আলিফ, ওসি জহিরুল হক সহ নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিকরা।