৫ আগষ্ট ২০২০, আজকের মেঘনা . কম,
হারুনুর রশিদ শেরপুর প্রতিনিধি :
ফেসবুকে কিশোরীকে মেসেজ দেওয়ার ঘটনার জেরে জানাযার কথা বলে ডেকে নিয়ে শেরপুর পৌর শহরের বটতলা এলাকায় পৌরসভার পুরনো ভবনে কিশোর নির্যাতনের ভিডিও ভাইরালের ঘটনায় জড়িত চার কিশোরকে গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নির্যাতনের ঘটনা প্রকাশের পরপর নির্যাতিত কিশোরের বাবা বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করলে রাতেই পুলিশ জড়িতদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলো- শহরের গোপালবাড়ি মহল্লার গোলাম মাহবুবের ছেলে সিয়াম (১৭), আমিনুল ইসলামের ছেলে শুভ (১৭), বেলাল হোসেনের ছেলে আরমান (১৬) ও সুজন মিয়ার ছেলে সাজেদুল ইসলাম (১৫) নাছিম। এছাড়াও পলাতক রয়েছে এ ঘটনায় জড়িত সবুজ মিয়ার ছেলে নাহিদ (১৬)।
জানাযায়, সম্প্রতি শহরের নাগপাড়া মহল্লায় ভাড়া থাকা জনৈক পাহাড়াদারের কিশোরী কন্যার ফেসবুক মেসেঞ্জারে মধ্যবয়রা কানাশাখোলা বাজার এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে আশিকুর রহমান পাপ্পু (১৫) একটি মেসেজ পাঠায়। পাপ্পু গৌরিপুর দারুস সুন্নাহ রোকেয়া উলুম মাদরাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী। মেসেজ পাঠানোর পর ওই কিশোরী তার বন্ধু গোপালবাড়ি মহল্লার সিয়ামকে বিষয়টি জানায়। এরপর সিয়াম গত ৩ আগস্ট সোমবার বিকেল চারটার দিকে নিজের দাদী মারা যাওয়ায় জানাযার পড়ার কথা বলে পাপ্পুকে পৌরসভার পুরনো ভবনে ডেকে নিয়ে আসে। এখানে আনার পর সিয়াম তার বন্ধু শুভ, আরমান, নাছিম ও নাহিদ মিলে পাপ্পুকে হাত-পা দিয়ে এমনকি বেল্ট দিয়ে বেধড়ক মারধর করে এবং তা মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়। বিশেষ করে সিয়ামকে মারমুখী দেখা গেছে। এসময় পাপ্পু সিয়ামের পা জড়িয়ে ধরে বারবার কাকুতি-মিনতি ও ক্ষমা চেয়ে কান ধরে উঠবোস করেও রেহাই পায়নি। বর্তমানে নির্যাতিত পাপ্পু শেরপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জড়িত চার কিশোর গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।