বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে চট্টগ্রামে প্রবল বর্ষণে পাহাড় ধসের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় প্রাণহানি ঠেকাতে ঝুঁকি নিয়ে বসবাসকারীদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। খোলা হয়েছে ১৫টি আশ্রয়কেন্দ্র। বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে জোরপূর্বক আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে আনা হয়েছে।
এদিকে, সাগর উত্তাল থাকায় বন্ধ রয়েছে বন্দরের বহির্নোঙরে জাহাজ থেকে পণ্য খালাস।
চট্টগ্রামে প্রবল বৃষ্টি মানেই পাহাড় ধসের শঙ্কা। আর বৃষ্টি পড়লেই শুরু হয় ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের সরিয়ে আনার কাজ। এবার’ও ব্যতিক্রম নয়। মুষলধারা বৃষ্টির মধ্যে সকাল থেকে বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় লোকজনকে সরে যাওয়ার আহবান জানিয়ে মাইকিং করে জেলা প্রশাসন।
সে সাথে স্থানীয় মসজিদ এবং মাদ্রাসা থেকেও মাইকিং করা হচ্ছে। বিরূপ আবহাওয়া পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে থাকা বাসিন্দাদের ১৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যে বলা হয়েছে। লালখান বাজার, মতিঝনা এবং ফিরোজশাহ কলোনীর কিছু কিছু পরিবারকে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জোরপূর্বক আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে বৃষ্টি আসলে দেখা যায় যে, আমাদের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই জায়গাগুলোকে তদারকি করতে হয়। মাইকিংয়ের পরেও যারা সরে যায়নি আমরা এখন তাদেরকে অপসারণ করছি।
এদিকে ৪ নাম্বার সতর্ক সংকেত এবং সাগর কিছুটা উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে। লাইটারেজ জাহাজগুলোকে পতেঙ্গা উপকূলে এনে রাখা হয়েছে। বহির্নোঙরে বর্তমানে ৪৫টির বেশি মাদার ভ্যাসেল পণ্য খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সদস্য মোহাম্মদ জাফর আলম বলেন, ‘আমাদের মোট কার্গোর ৭০ ভাগ কিন্তু বহির্নোঙরে ডেলিভারি হয় এবং লাইটার জাহাজগুলো সারা দেশে নিয়ে যায়। আবহাওয়া খারাপ হওয়ার কারণে সে কার্যক্রম এখন বন্ধ আছে।’
এদিকে, দুপুরে জোয়ার আসার সাথে বাড়তে থাকে ঢেউয়ের মাত্রা। বিশাল আকৃতির ঢেউ আছড়ে পড়ে উপকূলে। আর তাই দুর্ঘটনা এড়াতে পতেঙ্গায় বেড়াতে আসা দর্শনার্থীদের সরিয়ে দেয় পুলিশ।