বগুড়ার শেরপুরে মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে আব্দুল খালেক নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিজের দায় স্বীকার করেন।
শনিবার আদালতের মাধ্যমে আব্দুল খালেককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে শুক্রবার রাতে উপজেলার দ্বারকিপাড়া গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আব্দুল খালেক একই গ্রামের বাসিন্দা।
জানা গেছে, আব্দুল খালেক পেশায় কুলি। ভুক্তভোগী মেয়েটি স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। মেয়েটি তার বাবা ও সৎমায়ের সঙ্গে শেরপুর শহর এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকে। ২০ অক্টোবর রাতে মেয়েটির সৎমা বাড়িতে ছিলেন না। এ সুযোগে আব্দুল খালেক রাতে নিজের মেয়েকে ধর্ষণ করে। এছাড়া বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য ভয়ভীতি দেখায়। মেয়েটি ঘটনাটি কাউকে বলতে পারেনি।
ঘটনার পর শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে ভুক্তভোগী মেয়েটি। একপর্যায়ে নিজ মায়ের জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ করে। পরে শুক্রবার রাতে মায়ের সঙ্গে থানায় গিয়ে বাবার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করে ভুক্তভোগী মেয়ে। এরপর রাতেই অভিযান চালিয়ে আব্দুল খালেককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
অ্যাডিশনাল এসপি (শেরপুর সার্কেল) গাজীউর রহমান বলেন, ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য শিশুটিকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।