ঝিনাইদহে শীত মোকাবেলায় প্রস্তুতি হিসাবে লেপ-তোষক বানানোর তোড়জোড় চলছে। আবার কেউবা পুরাতনটাই ভালেভাবে মেরামত করে নিচ্ছে। সেই সাথে জেলায় প্রায় দুই শতাধিক কারিগররাও পুরাদমে ব্যস্ত সময় পার করছে। যেন তাদের সামান্য ফুসরত ফেলার সময় নেই। আবার কারিগররা আগে ভাগেই ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে লেপ-তোষক তৈরি করে রেখেছে।
যে যত বেশি আগে তৈরি করে নিতে পারবেন, তার লাভ ততই বেশি হবে। কারন হিসাবে তারা জানান, পুরা শীতের মৌসুমে তাদের ব্যস্ত থাকতে হবে। ফলে দোকানিরাও উপকরন গুলোর দাম বেশি হিসাবে বিক্রি করবে।
খোঁজনিয়ে জানা গেছে, জেলার ক্রেতারা শীতের কথা মনে রেখে আগে ভাগেই অর্ডার দিয়ে প্রয়োজন মত লেপ-তোষক বানিয়ে নিচ্ছে। অর্ডার পওয়ার পর কারিগররাও ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন।
কোটচাঁদপুরের জামতলার লেপ-তোষকের কারিগর মহিবুল ও মিজানুর জানান, শীত মৌসুমের পুরা তিন মাস ( অগ্রায়ন, পৌষ, ও মাঘ) যে পরিমান কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। বছরের বাকি দিন গুলো কাজ কম থাকায় সেই ভাবে ব্যস্ত থাকেনা। প্রয়োজনের তাগিদে অন্য পেশার দিকে যেতে হয়। বর্তমান শীত আসার পরপরই কাজ বেশি, তাই ব্যস্ততা বেড়ে গেছে।
তারা আরও জানান, তাদের একটি লেপ তৈরিতে তাদেও সময় লাগে আড়াই থেকে ৩ ঘন্টা। এভাবে প্রতিদিন তারা ৪-৫টি লেপ-তোষক তৈরি করতে পারেন। এখন দিনে তারা ৬-৭ শত টাকা আয় করে যা অন্যমাসে হয়না। আবার কাজ বেশি হলে বাড়তি লোক খোঁজ করতে হয়।
ঝিনাইদহ তুলা ব্যবসায়ি রাসেল হোসেন জানান, শীত মোসুমের ৩ মাস যে ভাবে কাজের ব্যস্ত থাকে, সাধারনত বছররের অন্য মাস গুলোতে তারা অলস সময় পার করে। কোউ কেউ অন্য পেশায় চলে যায়। শীতের আগাম বার্তায় লেপ তোষকের অর্ডার বেড়ে যায়। তাই কারিগররাও ব্যস্ত থাকে।
তিনি আরও জানান, তুলার দাম বেড়ে যাওয়ায় গত বছরের তুলনায় এবছর দাম একটু বেশি। তবে ১ হাজার টাকার লেপের চাহিদা একটু বেশি। তবে আকার ভেদে, কাপড়ের তারতম্যে দাম বেশি কম হচ্ছে। তাছাড়া কেনা বেচা ভালইে হচ্ছে। শীতের তীব্রতা যত বেশি হবে বেচাকেনাও তত বেশি হবে বলে আশা করছেন তিনি