কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান খানের সঙ্গে এক নারীর গোপন ফোনালাপ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ফাঁস হওয়া ফোনালাপে দুই জনের মধ্যে অশ্লীল কথোপকথন শোনা যায়। এছাড়া ওই নারীর সঙ্গে হোটেলে অবস্থানের ছবিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে।
ওই ফোনালাপ প্রকাশ হওয়ায় পর সমালোচনার মুখে পড়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান খান। এতে তার রাজনৈতিক জীবনেও প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন নেতা-কর্মীরা।
ফোনালাপ ও ছবির ব্যক্তি আব্দুল মান্নান খান বলে নিশ্চিত করেছেন ওই নারী। মান্নান খানের সঙ্গে রাজধানীর মিরপুর এলাকার একটি হোটেলে একাধিকবার সাক্ষাৎ এবং একান্তে সময় কাটানোর বিষয়টিও রাইজিংবিডির কাছে স্বীকার করেছেন তিনি।
এদিকে, ওই নারী সম্প্রতি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে গত ১৯ অক্টোবর স্থানীয় আইনজীবী আনিসুর রহমান লালের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে ধর্ষণ মামলা করেন। এ মামলায় আনিসুর রহমান লাল এখন কারাগারে রয়়েছেন।
ওই নারী অভিযোগ করে বলেন, দুই বছর আগে প্রতিবেশী যুবকের মাধ্যমে কুমারখালী উপজেলার জয়নাবাদ গ্রামের আইনজীবী আনিসুর রহমান লালের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরিচয়ের একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর কুষ্টিয়া এবং ঢাকার বিভিন্নস্থানে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে মেলামেশা করেন তারা।
তিনি বলেন, চলতি বছরের শুরুতে আনিসুর রহমান লাল কুমারখালী উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান খানের সঙ্গে তার (নারী) পরিচয় করিয়ে দেন। এরপর মান্নান খানের সঙ্গে তার দিনের পর দিন মোবাইল ফোনে কথোপকথন চলতে থাকে।
ওই নারী বলেন, ‘এরপর আমি ও আব্দুল মান্নান খান রাজধানীর একটি হোটেলে বেশ কয়েকবার দেখা করেছি। সময় কাটিয়েছি।’
ফোনালাপ ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কীভাবে এলো—এমন প্রশ্নের উত্তরে ওই নারীর বলেন, ‘আনিসুর রহমান লাল আমার মোবাইলের মেমোরি কার্ড বের করে নিয়ে যান। পরে এগুলো ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেন। মান্নান খানের সঙ্গে ঢাকার হোটেলে অবস্থানের ছবিটিও লাল আমার অজান্তে ধারণ করেন।’
উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এ বিষয়ে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী বলেন, ‘নৈতিকস্খলন কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। ব্যক্তির অনৈতিক কর্মকাণ্ডের দায় দল নেবে না। এর দায় তাকে নিতে হবে। ’