২০ ডিসেম্বর ২০২০, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ
সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদে সোমবার (২১ ডিসেম্বর) দেশব্যাপী জেলা ও মহানগরে দলীয় কার্যালয়গুলোতে কালো পতাকা উত্তোলন কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। একইসঙ্গে দলটির নেতাকর্মীরা কালো ব্যাজ ধারণ এবং কালো পোশাক পরিধান করবে। রোববার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ এ কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানান।
দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় বধ্যভূমিতে পরিণত হয়েছে। অথচ সরকার কোনো প্রতিবাদ করছে না।
রিজভী বলেন, ‘২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি বিএসএফ সীমান্তে গুলি করে হত্যা করে কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রেখেছিল বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানীকে। সেই বর্বর দৃশ্য আজও দেশের মানুষকে ব্যথিত করে। প্রতিটি দেশপ্রেমিকের হৃদয়ে আজও রক্তক্ষরণ হচ্ছে। দেশের জনগণ আশা করেছিল, ফেলানী হত্যার বিচার হবে, সীমান্তে হত্যাকাণ্ড কমে আসবে। কিন্তু দুর্ভাগ্য, সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি হত্যার ঘটনা স্বাভাবিক নিয়মে পরিণত হয়েছে। কারণ বাংলাদেশের সরকারের পক্ষ থেকে কোনও কঠোর পদক্ষেপ নেই।’
আইন ও শালিস কেন্দ্রের একটি তথ্য তুলে ধরা হয় সংবাদ সস্মেলনে। জানানো হয়, গত ১২ বছরে প্রায় ৫৫০ জন বাংলাদেশিকে সীমান্তে হত্যা করেছে বিএসএফ। এই করোনার মধ্যেও গত প্রায় এক বছরে খুন হয়েছে ৪৫ জন। এছাড়াও সীমান্তের নোম্যান্স ল্যান্ড ও নদীতে প্রায়ই বাংলাদেশির রহস্যজনক লাশ পাওয়ার ঘটনা খবরে আসে।
রিজভী বলেন, ‘সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বর্ডার গার্ডের তরফ থেকে পতাকা বৈঠক করে লাশ গ্রহণ ছাড়া ভরসা রাখার মতো কোনও তৎপরতাই এখন চোখে পড়ে না। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের সাথে সমমর্যাদা ও সমঅধিকারের ভিত্তিতে সুসম্পর্ক থাকতে পারে। কিন্তু সীমান্তে বাংলাদেশিদের পাইকারি হারে খুন করে যাচ্ছে, অথচ সরকার শুধু চুপচাপ নয়; বরং বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশি হত্যার বৈধতা দিচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে পৃথিবীর সবচেয়ে রক্তাক্ত সীমান্ত এখন বাংলাদেশের সীমান্ত। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত এলাকা এখন দক্ষিণ এশিয়ার একটি ভয়ঙ্কর বধ্যভূমিতে পরিণত হয়েছে।’