১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০, আজকের মেঘনা ডটকম, ডেস্ক রিপোর্ট :
সদ্য সমাপ্ত ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট ‘কারচুপিরথ তথ্য কূটনীতিকদের কাছে তুলে ধরেছেন দুই সিটিতে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেন। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) গুলশানের লেকশোর হোটেলে ধানের শীষের দুই মেয়র প্রার্থী কূটনীতিকদের সঙ্গে এই রূদ্ধদ্বার বৈঠক করেন।
বৈঠকে তারা কূটনীতিকদের সামনে ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে বাধা, ইভিএমে কারচুপি, কেন্দ্র দখল, গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের ওপর হামলাসহ নির্বাচনের সার্বিক চিত্র তথ্য-উপাত্তসহ উপস্থাপন করেন। বৈঠকে অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া, ডেনমার্ক, নরওয়ের রাষ্ট্রদূতসহ জার্মানি, তুরস্ক, ভারত, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ ১৩টি দেশের কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, কেন্দ্রীয় নেতা ইসমাইল জবিউল্লাহ, শামা ওবায়েদ, আসাদুজ্জামান, জহিরউদ্দিন স্বপন, জেবা খান, মীর হেলাল, ফারহানা মুন্নী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের পর ইশরাক হোসেন গণমাধ্যমের সামনে কথা বললেও তাবিথ আউয়াল কোনো কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। বৈঠকে অংশ নেয়া বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নেতারাও সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।
ইশরাক বলেন, এখানে দলের ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির পক্ষ থেকে একটা প্রেজেন্টেশন দেয়া হয়েছে। তাতে নির্বাচনের দিন কী কী ঘটনা ঘটেছে তা দেখানো হয়েছে।
কোন বিষয়গুলো ফোকাস করেছেন, প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, কারচুপির ইলেকশন, জালিয়াতির ভোট- এসব বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।
তিনি বলেন, তারা আমাদের উন্নয়ন সহযোগী দেশ। তারা জানতে চেয়েছেন ইলেকটোরাল প্রসেসটা কীভাবে সংঘটিত হচ্ছে। নির্বাচনে বিভিন্ন স্তরে কারচুপিটা হয়েছে ভোটকেন্দ্র দখল করে, সেখানে ভোট টিপে ভোট দেয়া থেকে শুরু করে একদম ফলাফল পরিবর্তন যে করা হয়েছে- সবকিছু আমরা তুলে ধরেছি। আমরা তাদের কাছে কোনো অভিযোগ করিনি। তারা জানতে চেয়েছে, আমরা তাদের জানিয়েছি।
কূটনীতিকরা কোনো মন্তব্য করেছেন কী না জানতে চাইলে ইশরাক বলেন, তারা (কূটনীতিকরা) নির্বাক ছিলেন। তারা খুবই অবাক হয়েছেন যে, এভাবে একটা কারচুপি হতে পারে, এত বড় একটা নির্বাচনে। তিন-চার স্তরে ভোট কেন্দ্রগুলো দখল করা হয়েছিল বাইরে-ভেতরে সব জায়গায়।
ইশরাক বলেন, সাংবাদিক ও আমাদের পোলিং এজেন্টদের আহত করায় তারা (কূটনীতিকরা) ব্যথিত হয়েছেন। আমরা বিভিন্নভাবে পরিসংখ্যান দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছি যে, কীভাবে ফলাফল স্থগিত করে পরবর্তী সময়ে গভীর রাতে তা পরিবর্তন করা হয়। তারা এসব শুনেছেন, নির্বাক থেকেছেন।