শাহারুখ আহমেদঃ সোনারগাঁয়ের জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হামীম শিকদার শীপলু তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় তিনি শনিবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন উল্লিখিত ঘটনা উদ্দেশ্যপ্রনদিত, ভিত্তিহীন ও অসত্য।
তাছাড়া চেয়ারম্যান শীপলু আরো বলেন, মহজমপুরের তাইজুদ্দি ও আবু কে সাথে নিয়ে রেকর্ড বলে আব্দুল মান্নান ২০১৭ সালে আমার ও আমার বন্ধু আশরাফুল ভুইয়া এর নিকট ৬ শতাংশ জমি বিক্রি করেন ২৫ লক্ষ টাকায়। পুরো টাকা আব্দুল মান্নান এর একাউন্টে পে-অর্ডার করে দেই। ৬ শতাংশ জমি দলিল করতে আমার আরো ৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়। জমি দলিল করার কিছু দিন পরে আব্দুল মান্নান এর ভাতিজা ইসমাইল এসে আমাকে বলে আমার চাচা আব্দুল মান্নান আমাদের তিন ভাইয়ের কাছে ২০০৭ সালে ৩ শতাংশ জমি বিক্রি করেছে। পরবর্তীতে আবারো এই ৩ শতাংশ জমি সহ আপনার নিকট মোট ৬ শতাংশ জমি বিক্রি করেছে, তারা তাদের দলিল আমার নিকট হস্তান্তর করে। আমি তাদের দলিল দেখে তাইজুদ্দি , আবু, আব্দুল মান্নান সহ স্থানীয় কিছু ব্যাক্তিদের নিয়ে দলিলাদি পর্যবেক্ষনের জন্য বসি। সেখানে মান্নান প্রতারক হিসেবে প্রমানিত হয়। এসময় আব্দুল মান্নান আমাকে ২৫ লক্ষ টাকা ফিরিয়ে দিবে বলে কথা দেয় এবং আমাকে টাকা ফিরিয়েও দেয়। তখন আমি বলি ৬ শতাংশ জমি রেজিষ্ট্রি করতে আমার ৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়। তখন আব্দুল মান্নান, তাইজুদ্দি ও আবু আমাকে বলে এখানে আব্দুল মান্নান এর ১.৩ শতাংশ জমি আছে তুমি আরো কিছু টাকা দিয়ে কিনে নাও তাছাড়া আব্দুল মান্নান তো গরিব, তুমি জমির দাম ১০ লক্ষ টাকা মান্নানকে দিয়ে দিও। কিন্তু আমি ৮ লক্ষ টাকা দিতে রাজি হই। আব্দুল মান্নানও আমার কথায় রাজি হয়। আমি আব্দুল মান্নান কে আমার ভাগের ৪ লক্ষ টাকা দিয়েও দেই। এখন বাকি ৪ লক্ষ টাকা পাবে আমার বন্ধু আশরাফুল ভুইয়া এর নিকট।
তাছাড়া সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, আশরাফুল ভুইয়া আব্দুল মান্নান এর নিকটবর্তী আত্মীয়। তবে কাগজপত্র ও সাক্ষী প্রমানাদীর বলে আমি নির্দোষ। তাছাড়া সামনে নির্বাচন তাই জানিনা কে বা কারা আব্দুল মান্নান কে উস্কানী মুলক কথা বলে আমার নামে মিথ্যে, বানোয়াট, ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করেছে। খুব সম্ভবত পরবর্তী নির্বাচনে আমার মানহানী করতে অথবা জনগণের নিকট আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার পায়তারা চলছে। তাই আমি এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং বিচার বিশ্লেষণ করে আইনের পূর্ণ সহায়তা আশা করছি।