মামুনুর রহমান,তিতুমীর কলেজ প্রতিনিধিঃ ফ্রান্সে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ফরাসি পত্রিকা শার্লি এবদাতে প্রকাশিত মহানবী(স) এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদশর্নের প্রতিবাদে রাজধানীর তিতুমীর কলেজে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
আজ সকাল সকাল দশটায় কলেজের প্রধান ফটকের সামনে তিতুমীর কলেজের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী এম কে হাসান সবুজের সভাপতিত্বে ঐ মানব বন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
উক্ত মানব বন্ধনে উপস্থিত সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্রতিবাদী প্ল্যাকার্ড নিয়ে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। এছাড়াও শিক্ষার্থীরা একাধিক দাবিও পেশ করেন।
মানববন্ধনে আয়োজক এম কে হাসান সবুজ বলেন, ফ্রান্সের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সঃ) এর ব্যঙ্গচিত্র প্রর্দশনে আমরা তীব্র নিন্দা প্রকাশ করছি। মুসলমানদের হৃদয়ে বিরাজমান আমাদের নবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) কে ব্যঙ্গচিত্র, অপমান আমরা মুসলমানরা কখনোই মেনে নিব না।
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে ফ্রান্স যার চরম মূল্য তাদের দিতেই হবে। পুরো মুসলিম জাতীর হৃদয়ে চোট পৌছিয়েছে এই ইসলামের শত্রু ফ্রান্স। আমরা প্রতিবাদ স্বরুপ ফ্রান্সের সকল পণ্য বয়কট করলাম। সকল মুসলমানদের কর্তব্যের স্বরূপ ফ্রান্সের পণ্য বর্জন করা বাঞ্ছনীয় ।
এসময় আরেক মাস্টার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল জিহাদ বলেন, ফান্স সরকার ইসলামকে অবমাননা করে রাসুল (সা.)-কে নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন করছে। এর প্রতিবাদে আজ আমরা এখানে সমবেত হয়েছি। শুধু ফ্রান্সে নয়, বিশ্বের অনেক দেশেই বর্তমানে ইসলাম বিদ্বেষী কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পেয়েছে । আমরা সেই সব ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং সারা মুসলিম বিশ্বকে ঐক্য ভাবে প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান জানাচ্ছি।’
এছাড়াও সাধারণ শিক্ষার্থীরা আরো বলেন,মুসলমানরা তাদের নবীজিকে নিজ জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসে। বিশ্বনবীর মর্যাদা রক্ষায় আমরা জীবন দিতেও পিছপা হবো না। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে প্রকাশ্য গোটা মুসলিম বিশ্বের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে এবং প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে যাতে পরবর্তীতে কখনো ইসলামে আঘাত হানে এমন বক্তব্য কিংবা চিত্র প্রদর্শনী না করে। যদি রাষ্ট্রীয়ভাবে ফ্রান্স ক্ষমা না চায় তবে বিশ্বের সকল মুসলিম দেশ তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হবে।
তাদের দাবিগুলো হলো-ফ্রান্সের সকল পণ্য বর্জন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের প্রকাশ্য ক্ষমা চাওয়াসহ সকল মিডিয়াকে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের খবর প্রকাশ করা।
সংশ্লিষ্টদের অনেক বলেন , ফ্রান্সে রাসূল (সা.) কে নিয়ে ব্যাঙ্গাত্মক চিত্র প্রদর্শন নতুন কিছু নয়। উসমানী খেলাফতের সুলতান দ্বিতীয় আব্দুল হামিদের শাসনামলেও এমন নিকৃষ্টতম অপরাধ সংঘটিত হয়েছিল এবং তারা শাস্তিও পেয়েছিল।বাকস্বাধীনতার নামে এমন ঘৃণ্য অপরাধ কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।ফ্রান্স সরকারকে এর চরম মূল্য দিতে হবে।