১৫ ডিসেম্বর ২০২০, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ
অবশেষে বিআইডব্লিউটিএ’র উদ্ধারকারী জাহাজ নির্ভীকের সহযোগিতায় ডুবরিদল ও সেচ যন্ত্রের সাহায্যে সোমবার সন্ধায় মাদারীপুরের বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ডুবে যাওয়া ডাম্প ফেরিটি তীরে টেনে উঠাতে সক্ষম হয় বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
ডুবে যাওয়ার সাতদিন পর বিআইডব্লিউটিএ’র নির্ভীক এর সাহায্যে ডুবে যাওয়া ডাম্প ফেরিটি উদ্ধার করে। ডুবে যাওয়া ফেরিটির ওজন অনেক বেশি হওয়ায় ফেরিটি টেনে তুলতে অনেক বেশি সময় লেগেছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।
বিআইডব্লিউটিএ’র উদ্ধারকারী জাহাজ নির্ভীকের কমান্ডার ও নৌসংরক্ষণ ও পরিচালনা বিভাগের যুগ্ম-পরিচালক এস.এম আজগর আলী জানান, গত ৭ ডিসেম্বর বাংলাবাজার ফেরিঘাটের কাছেই রাণীগঞ্জ ডাম্ব ফেরিটি ডুবে যায়। ওই খবর পেয়ে ৯ ডিসেম্বর বরিশাল থেকে বাংলাবাজার ঘাটে এসে পৌঁছাই। উদ্ধার প্রক্রিয়ার প্রাথমিক কাজ শেষ করে আজ সোমবার বিকেল থেকে পুরোপুরি উদ্ধার কাজ শুরু করি। বিআইডব্লিউটিএ’র উদ্ধারকারী জাহাজ নির্ভীকের সহায়তায় ডুবুরি দল ও সেচ যন্ত্রের সাহায্যে সোমবার রাত ৮টায় ফেরিটি সম্পূর্ণ টেনে উঠাতে সক্ষম হই। তবে ফেরিটির ওজন অনেক বেশি হওয়ার ফেরিটি তুলতে অনেক বেশি সময় লেগেছে এবং বেগ পেতে হয়েছে।
উল্ল্যেখ্য, গত রোববার (৭ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার সময় সাতটি ট্রাক, ৫টি যাত্রী বোঝাই বাস ও ৭টি ছোট গাড়ি নিয়ে মাওয়ার শিমুলিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে যায় রাণীগঞ্জ ডাম্ব ফেরি। ওই ফেরিতে যাত্রী ও কর্মীসহ চার শতাধিক মানুষ ছিল। রাত ১১ টার দিকে ফেরিটি যখন পদ্মা সেতু সংলগ্ন হাজরা চ্যানেলের কাছাকাছি পৌঁছায় তখন সেতু স্থাপনের কাজে ব্যবহৃত ড্রেজারের পাইপের সাথে প্রবল বেগে ধাক্কা খায়। শব্দের উৎস খুঁজতে গিয়ে ফেরির চালক ফজলুল করিম দেখতে পান ফেরির তলা ফেটে প্রবল বেগে পানি প্রবেশ করছে। তিনি দ্রুত গতিতে ঘাটের দিকে রওনা হন। তখনও ঘন কুয়াশা না পড়ায় ২০ মিনিটের মধ্যে বাংলাবাজার ঘাটে পৌঁছে যায় ফেরিটি। ততোক্ষণে ফেরির ওপরে পানি উঠতে শুরু করেছে। ফজলুল করিম যাত্রীদের কিছুই বুঝতে দেননি। একে একে সব গাড়ি আনলোড করার পর তিনি ঘাটের উল্টো পাশেই ফেরিটি নোঙর করেন। বাংলাবাজার ঘাটের বিপরীতে সকালের দিকে ফেরিটি ডুবে যায়। ডুবে যাওয়া ফেরিটি অনেক পুরাতন ছিল।