২৩ ডিসেম্বর ২০২০, আজকের মেঘনা. কম, রংপুর প্রতিনিধি:
রংপুর নগরীর পার্কের মোড় কোর্টপাড়া এলাকায় রিকশাচালককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে পুলিশ কনস্টেবল হাসান আলীর বিরুদ্ধে। পুলিশের বাসা থেকে প্রতিবন্ধী নাজমুল ইসলাম (৩০) যুবকের লাশ উদ্ধার করেছেন পুলিশ।
বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে নগরীর আশরতপুর কোর্টপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ওই পুলিশ সদস্যের বাড়ি ঘেরাওসহ সড়কে অবস্থান নিয়ে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছে। এ ঘটনায় পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে কনস্টেবল পুলিশ সদস্য হাসান আলীকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, লালমনিরহাটের মুস্তফি এলাকার শারীরিক প্রতিবন্ধী হাসান আলী আশরতপুর ইদগাপাড়ায় বাড়ি ভারা নিয়ে বসবাস করছিলেন। তার পায়ে সমস্যা থাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা ভাড়ায় নিয়ে চালাতেন। আর ওই রিকশাটি ছিল পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত কনস্টেবল হাসান আলীর। হাসান আলীর বাড়ি গাইবান্ধায়। তিনি আশরতপুর কোটপাড়ায় জাহাঙ্গীরের বাড়ি ভারা নিয়ে পরিবারসহ বসবাস করেন।
এদিকে, বুধবার দুপুরে ওই বাড়িতে নাজমুলের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেরে বিক্ষোভ শুরু করেন এলাকাবাসী। খবর পেয়ে তাজহাট থানাপুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছুলে তাদেরকেও অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, নাজমুলকে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার প্রচারণা চালিয়েছে পুলিশ সদস্য হাসান। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী রংপুর-কুড়িগ্রাম সড়কের পার্কের মোড়ে অবস্থান নিয়ে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।
এদিকে, খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালি জোন) আলতাব হোসেন জানান, পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ সগম্য হাসান আলী ও তার স্ত্রী সাথী বেগমকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে অভিযোগ প্রমাণিত হলে যথাযত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।