২৪ ডিসেম্বর ২০২০, আজকের মেঘনা. কম, রংপুর সংবাদদাতা:
এক নাপিতের সঙ্গে গাইনি চিকিৎসকের পালিয়ে বিয়ে করার ঘটনার ২১ মাস পর সন্তানসহ ধরা পড়লেন তারা।
নরসুন্দর প্রেমিককে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করা গাইনি চিকিৎসক ডা. মিতু, তার স্বামী রফিকুল ইসলাম বাপ্পী ও সন্তানকে সোমবার (২১ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার চানমিয়া হাউজিংয়ের একটি বাসা থেকে উদ্ধার করেছে রংপুর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে রংপুর সিআইডির পুলিশ সুপার (এসপি) মিলু মিয়া বিশ্বাস প্রেস বিফ্রিংয়ে এসব তথ্য জানান।
মামলার উদ্ধৃতি দিয়ে এসপি মিলু মিয়া জানান, গত বছরের মার্চ মাসে ব্যবসায়ী আব্দুল গফুর তার মেয়ে গাইনি চিকিৎসক আয়েশা ছিদ্দিকা মিতু অপহৃত হয়েছেন-মর্মে নগরীর কোতোয়ালি থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন।
মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, ‘আলমনগর কলোনির নরসুন্দর বাপ্পী তার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে গেছেন’।
এ ঘটনায় দীর্ঘদিন পুলিশ চেষ্টা করেও অপহৃত ডা. মিতুকে উদ্ধার করতে পারেনি। পরে মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডি পুলিশের কাছে দেয়া হয়। সিআইডি পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) ইউনুছ দীর্ঘদিন অনুসন্ধান চালিয়ে ডা. মিতুকে সোমবার রাতে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার চানমিয়া হাউজিংয়ের একটি বাসা থেকে উদ্ধার করেন। সেই সঙ্গে অপহরণকারী বাপ্পীকে আটক করেন।
ডা. মিতু তার আগের স্বামীকে তালাক দিয়ে বাপ্পীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। তার আগের স্বামীর ঘরে একটি ছেলে সন্তান এবং বাপ্পীর ঘরে একটি সন্তান রয়েছে। তারা অনেক দিন আগেই বিয়ে করে সংসার করে আসছিলেন।
৮-৯ বছর ধরে বাপ্পীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো ডা. মিতুর। তারা আগেও একবার পালিয়ে গিয়েছিলেন জানিয়ে এসপি মিলু মিয়া জানান, ওইসময় অনেক বুঝিয়ে তাকে বাড়িতে আনা হলেও আবার তারা পালিয়ে যান। বাপ্পী পেশায় নরসুন্দর হলেও তিনি মিতুর বাবার ব্যবসায় ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করতেন।
দীর্ঘ ২১ মাস ধরে ডা. মিতু ঢাকার মোহাম্মদপুরে চেম্বার দিয়ে রোগী দেখতেন। তিনি যা রোজগার করতেন তাই দিয়ে বাসাভাড়াসহ তাদের সংসার খরচ চলতো বলে জানিয়েছেন।
ডা. মিতু জানান, বাপ্পীর সঙ্গে ২১ মাসের বিবাহিত জীবনে তাদের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। তারা সুখেই আছেন। তার বাবা তাদের নামে মিথ্যা মামলা করেছেন বলে দাবি করেন তিনি।