২৫ ডিসেম্বর ২০২০, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ
সময়মতো রান্না করে খাবার না দেয়ায় ও চাকরি করতে চাওয়ায় স্ত্রীর চুল কেটে দিয়েছেন সাইফুল ইসলাম নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষক। ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার হেলিপ্যাড রোড এলাকায় গত মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) এ ঘটনা ঘটেছে।
অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম ভোলা সদর উপজেলার উত্তর দিঘদী ইউনিয়নের কমরউদ্দিন এলাকার মৌলভীবাড়ির তৌয়বুর রহমানের ছেলে ও বোরহানউদ্দিন দারুস সুন্নাত মডেল একাডেমির সহকারী শিক্ষক।
এ ঘটনায় স্ত্রী খাদিজা বেগম বোরহানউদ্দিন থানায় বৃহস্পতিবার ৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করলে পুলিশ ওইদিই তার শ্বশুর তৈয়বুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে।
দৌলতখান উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের লেজপাতা গ্রামের খাদিজার চাচা মো. খায়ের জানান, ছোট বেলায় খাদিজার বাবা মারা যাওয়ায় তারাই তাকে পড়াশুনা ও লালন পালন করেছেন। ৬ মাস আগে খাদিজার সঙ্গে বিয়ে হয় সাইফুল ইসলামের। বিয়ের পর তারা বোরহানউদ্দিন হেলিপ্যাড রোড এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। বিয়ের আগে খাদিজা একটি মহিলা মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষকের চাকরি করতেন। দুই মাস আগে স্বামী সাইফুল ইসলামের নির্যাতন ও চাপে চাকরি ছেড়ে দেন খাদিজা।
তিনি আরো জানানা, সাইফুল ইসলাম এর আগেও একটি বিয়ে করে। তার প্রথম স্ত্রী মারা যায়। পরে বিষয়টি আমাদের কাছে গোপন রেখে সে খাদিজাকে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে সে খাদিজার উপর নির্যাতন চালাত। ঘটনার দিনও সে খাদিজাকে নির্যাতন করে তার মাথার চুল কেটে পুড়িয়ে ফেলে। বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য প্রাণনাশের হুমকিও দেয়। পরে নির্যাতন সইতে না পেয়ে ভয়ে খাদিজা ওই বাড়ি থেকে ওইদিনই বিকেলে পালিয়ে আমাদের বাড়িতে চলে আসে।
তবে সাইফুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করেন বলেন, তার স্ত্রী খাদিজা চাকরি করতে চায়, সময়মতো রান্না ও খাবার বিতরণ করে না। এ নিয়ে আমাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হতো কিন্তু তাকে নির্যাতন করতাম না।
তিনি আরো জানান, তার স্ত্রীর চুল পড়ে যায় বলে তা কেটে দিয়েছেন।
বোরহানউদ্দিন থানার ওসি মাজহারুল আমিন জানান, এ বিষয়ে গৃহবধূ খাদিজা বেগম তার স্বামী সাইফুল ইসলাম, শ্বশুর তৌয়বুর রহমান, শাশুড়ি ও দেবরকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। আমরা মামলার দুই নম্বর আসামি তৌয়বুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছি। প্রধান আসামি সাইফুল ইসলামসহ বাকিরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।