• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:০৯ পূর্বাহ্ন

বেড়াতে গিয়ে কিশোরীকে গণধর্ষণ, নারীসহ আটক ২

রিপোর্টার : / ২০৭ বার পঠিত
আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১ জানুয়ারি, ২০২১

০১ জানুয়ারী ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

বেড়ানোর কথা বলে ঢাকা থেকে নেত্রকোনার কলমাকান্দায় এনে এক কিশোরীকে (১৬) দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। এ অভিযোগে কিশোরী ছয়জনের নামসহ অজ্ঞাতনামা ২-৩জনকে আসামি করে থানায় অভিযোগ দিলে কলমাকান্দা থানা পুলিশ সহায়তাকারী নারীসহ দুজনকে আটক করে।

শুক্রবার (১ জানুয়ারি) আটককৃত দুজনকে আদালতে পাঠানো হয় বলে জানান ওসি এটিএম মাহমুদুল হক। এর আগে ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে কিশোরীকে উদ্ধার করে গত বৃহস্পতিবার ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা করায় পুলিশ।

আটককৃত দুজন হলেন- সহায়তাকারী নারী ইয়ারপুর গ্রামের মৃত শামছুদ্দিনের মেয়ে মোছা. পারভীন আক্তার ওরফে মায়া শেখ (২৭) ও নয়াপাড়া গ্রামের মাখন দাসের ছেলে লক্ষন দাস (২৩)।

এছাড়া অন্যান্য অভিযুক্তরা হলেন- একই উপজেলার কান্তপুর গ্রামের মো. মামুন মিয়া (২৮), আতিকাপড়া গ্রামের মো. ফারুক (৩০), ভবানীপুর গ্রামের বিপুল (৩০) ও মুক্তিরচর (ধান মহল) এলাকার শীতল (২৫) এবং অজ্ঞাতনামা আরো ২-৩ জন। আটকসহ সকল আসামি কলমাকান্দা উপজেলার বাসিন্দা।

অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, গত ৩০ ডিসেম্বর বেড়ানোর কথা বলে ঢাকা থেকে ভিকটিমকে কলমাকান্দা নিয়ে আসে মোছা. পারভীন আক্তার ওরফে মায়া শেখ। কলমাকান্দায় যমুনা গেষ্ট হাউসে মায়া শেখ ও তার ৭ বছরের সন্তানসহ ভিকটিম রাত্রী যাপন করে। হোটেলে অবস্থানকালীন সময় মায়া শেখ আসামি শীতলের সাথে যোগাযোগ করে ও শীতল হোটেলে গিয়ে তাদেরকে খাবার খাওয়ায়। পরের দিন ৩১ ডিসেম্বর বিকেলে ‘চল বাহির থেকে বেড়াইয়া আসি’ বলে মায়া শেখ তার সন্তানসহ ভিকটিমকে ভবানীপুর পাম্পের মোড়ে নিয়ে আসে। সেখানে শীতল ও মামুনের সঙ্গে কথা বলে ভিকটিমকে তাদের কাছে রেখে নাজিরপুর বাজারে ছেলের জুতা কিনতে যান।

পরে সন্ধ্যার দিকে এসে ভাড়া করা মোটরসাইকেল করে ভিকটিমসহ তারা লেংগুরার উদ্দেশ্যে রওনা হন। পথিমধ্যে ভিকটিম প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়ার কথা মায়াকে জানায়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে আকাশ ভবানীপুর উত্তরপাড়া গ্রামের জনৈক আবু সাইদ চৌধুরীর বসত বাড়ির পুকুরের একটি কোনায় ভিকটিমকে নিয়ে যায়। সেখানে মায়া শেখ, শীতল ও লক্ষনের সহায়তায় তাদের সাথে থাকা মাফলার দিয়ে পেছন দিকে থেকে ভিকটিমের মুখ বেঁধে ফেলে। পরে মামুন মিয়া, ফারুক, বিপুলসহ অজ্ঞাত আরো ২-৩ জন ভিমটিমকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে আসামিরা চলে যাওয়ার সময় ভিকটিম মুখের বাঁধন খুলে চিৎকার দিলে আশপাশে থাকা লোকজন ছুটে আসে এবং ৯৯৯-এ ফোন কলে। ফোন পেয়ে পুলিশ মধ্যরাতে ভিকটিমকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

কলমাকান্দার ওসি এটিএম মাহমুদুল হক বলেন, ভিকটিমের জবানবন্দি গ্রহণ করে ও নারীসহ আটককৃত দুজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভিকটিমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে বলে জানান তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

পুরাতন সংবাদ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১