১৫ জুন ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় ফুটওভার ব্রিজের ওপর এক কিশোরীকে মারধরের অভিযোগে আরেক টিকটক হৃদয়কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই হৃদয় একটি হত্যা মামলারও পলাতক আসামি।
মঙ্গলবার (১৫ জুন) পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) সোহেল রানা এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংকে প্রেরণ করেন একজন সচেতন নাগরিক।
ভিডিওটিতে দেখা যায়, কোনো একটি ওভার ব্রিজের উপর পথচারীদের উপস্থিতিতেই এক কিশোরীকে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির পাশাপাশি অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি এবং নির্বিচারে মাথায় ও গালে আঘাত করছেন এক যুবক। ঘটনাস্থলে ওই যুবকের সঙ্গে এক তরুণীসহ আরো কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। পরে অবশ্য পুলিশ জানতে পারে ঘটনাটি ঘটেছে যাত্রাবাড়ী থানার শনির আখড়া ফুটওভার ব্রিজের উপর।
সোহেল রানা বলেন, ভিডিওটি হাতে পেয়ে, যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলামের কাছে ভিডিওটি পাঠিয়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয় মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং। ওসি তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্ত ও ভিকটিমকে খুঁজে বের করতে তার একটি টিমকে নিয়োজিত করেন।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ভিডিওতে কোনো নাম ঠিকানা বা কোনো প্রাসঙ্গিক তথ্য না থাকায় গোয়েন্দা তৎপরতার মাধ্যমে অভিযুক্তের নাম পরিচয় বের করা হয়। অভিযুক্ত যুবকের নাম সাদ্দাম হোসেন ওরফে হৃদয়। যাত্রাবাড়ী এলাকায় তার বসবাস।
তিনি বলেন, ঘটনাস্থল বা সংশ্লিষ্ট এলাকায় ভিকটিম মেয়েটিকে আগে কেউ কখনো দেখেননি। হৃদয়কে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে পুলিশ নানা স্থানে অভিযান চালায়। কিন্তু, ঘটনার পরপরই হৃদয় এলাকা ত্যাগ করেন। ভিন্ন ভিন্ন স্থানে অবস্থান করেন তিনি। পুলিশও তার পেছনে দীর্ঘদিন লেগে থেকে অবশেষে ১৪ জুন বিকেলে তাকে গ্রেপ্তার করে।
এআইজি সোহেল রানা বলেন, হৃদয়কে গ্রেপ্তারের পর জানা যায়, সে টিকটকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে তার বিকৃত অদ্ভুত স্টাইল প্রচার করে মেয়েদেরকে কৌশলে আকৃষ্ট করে প্রেমের ফাঁদে ফেলে সর্বস্বান্ত করে আসছিলো। এছাড়া, বিভিন্ন সময় মেয়েদেরকে জিম্মি করে টাকা-পয়সা আদায় করতো সে। মেয়েদেরকে উত্যক্ত করতো ও সম্ভ্রমহানি করতো।
তিনি বলেন, ফুটওভার ব্রিজে কিশোরীকে মারধর ঘটনাটি ঘটেছিলো গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইনস-ডে’র দিন। ভিকটিমকে খুঁজে বের করে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে এই বিষয়টির সঙ্গে লেগে থেকে অপরাধীকে খুঁজে বের করে তাকে আইনের আওতায় এনে পেশাগত আন্তরিকতার পরিচয় দিয়েছেন ওসি যাত্রাবাড়ী। এ বিষয়ে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।