২৩ জুন ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ
রাজধানীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রসহ ‘বুস্টার গ্যাং’ নামক কিশোর গ্যাংয়ের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি ওয়ান শুটারগান, এক রাউন্ড গুলি, তিনটি সুইচ গিয়ার, একটি প্লাস্টিকের বাটযুক্ত চাকু, একটি ছোরা, একটি চাইনিজ কুড়াল, একটি কাঠের হ্যামার, একটি করাত, দুটি হকস্টিক, ২৮৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৩৫ পুরিয়া গাঁজা, দুই ক্যান বিয়ার, একটি ইলেকট্রনিক ওজন মাপার যন্ত্র ও নগদ ১ হাজার ২৩০ টাকা জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- গ্যাং লিডার মো. শাওন ওরফে বুস্টার শাওন (২৫), মো. রবিন ওরফে পঁচা রবিন (২৬), শাওন ওরফে চিকু শাওন ওরফে হকি শাওন (২৩), মো. তাজল (২৮), মো. আলী আজগর (২৫), মো. রিয়াজ (২৩) ও মো. আনোয়ার (২৫)।
বুধবার (২৩ জুন) রাতে র্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি এনায়েত কবীর সোয়েব গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘বুধবার দুপুরে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন আগানগর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রসহ স্থানীয় বুস্টার গ্যাংয়ের সাত সদস্যকে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গ্রেফতার করে।’
এএসপি এনায়েত কবীর সোয়েব বলেন, ‘এই সংঘবদ্ধ অপরাধীরা স্থানীয় বুস্টার গ্যাংয়ের সদস্য। তারা সবসময় একত্রে ইয়াবা, গাজা, বিয়ার, মদসহ নানা ধরনের মাদক সেবন করে ও প্রায়ই তারা নিজেদের মধ্যে পার্টি করে। তারা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশী অস্ত্রসহ মারামারিতে লিপ্ত থাকে। এ ছাড়া বিভিন্ন জনবিরল এমনকি জনসমাগমপূর্ণ স্থানেও তারা পথচারীদের আকস্মিকভাবে ঘিরে ধরে আশেপাশের কেউ বুঝে ওঠার আগেই আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশী অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক মানিব্যাগ, টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, সঙ্গে বহন করা দামি জিনিসপত্র ছিনতাই করে দ্রুত পালিয়ে যায়।’
গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘গ্রেপ্তা বুস্টার গ্যাংয়ের সদস্যরা ডাকাতি, ছিনতাই ছাড়াও মাদক সেবন, খুচরা মাদকের ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ইভটিজিং, পাড়া-মহল্লায় মারামারি এবং স্থানীয় ভূমি দস্যুদের পক্ষে অপদখলীয় জমিতে গিয়ে পেশীশক্তির মহড়া প্রদর্শনসহ নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। প্রায়ই তারা এলাকায় প্রভাব বিস্তারকল্পে দলবদ্ধ হয়ে সংঘাত সৃষ্টি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করে।’
‘এ ছাড়া তারা ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে ও হানিফ ফ্লাইওভারের ওপর বিভিন্ন সময়ে যানবাহন থামিয়ে সাধারণ মানুষের চলাচলে ব্যাপক সমস্যা সৃষ্টিসহ ছিনতাই, রাহাজানির সঙ্গে জড়িত ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়।’ যোগ করেন তিনি।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বুস্টার গ্যাংয়ের কার্যকলাপে তারা অতিষ্ঠ। এই গ্যাংয়ের বেশিরভাগ সদস্যের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করেই দিন দিন তারা তাদের অপরাধের পরিধি বাড়িয়েই চলেছে।