২৪ জুন ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, স্টাফ রিপোর্টার : শুধুমাত্র নামেই চালিভাঙ্গা নৌ পুলিশ ফাঁড়িটি। নেই পর্যাপ্ত জনবল, জনাকীর্ণ ভাড়া ভবনই অফিস ও আবাসিক ব্যবস্থা। নেই কোন ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থা বহুমুখী সংকটে সেবা পাচ্ছেনা স্থানীয় জনগণ। কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার মেঘনা নদী সংলগ্ন রামপুর বাজারে অবস্থিত চালিভাঙ্গা নৌ পুলিশ ফাঁড়ি। সরেজমিনে গিয়ে জানা গেলো ও দেখা গেলো এই দৈন্যদশা। মেঘনা – কাঠালিয়া নদীবেষ্টিত উপজেলা মেঘনা। স্থল পথের চেয়ে নদী পথে অপরাধ প্রবণতা অনেক। চট্রগ্রাম ও ঢাকা বিভাগের সীমান্ত ঘেঁষে মেঘনা নদী হওয়ার কারনে মাদক সহ যে কোন চোরাচালানের প্রধান নৌ পথ। খুব সহজে দিনে বা রাতে পাড়ি দিতে খুব সহজ। সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা সহ বিভিন্ন অঞ্চলের জাহাজ স্থানীয় বালুবাহী বাল্কহেডের যাতায়াত অতিমাত্রায় হয় মেঘনা কাঠালিয়া নদীপথে ফলে দুই নদীতেই চাঁদাবাজী হয় দেদারসে। মাঝে মাঝে অভিযান পরিচালনা করতে যায় প্রশাসন যাওয়ার আগেই জেনে যায় চাঁদাবাজরা। ফলে সব অভিযান সফল হয়না। চোরাচালান সহ মাদক বন্ধে এই পুলিশ ফাঁড়ির রয়েছে বড় ভুমিকা। অনুসন্ধানে উঠে এসেছে ফাঁড়িটি নিজেই রোগাক্রান্ত। ফাঁড়ি সূত্রে জানা যায় উক্ত ফাঁড়িতে ৩৩ জন জনবল থাকার কথা ছিল এর মধ্যে ৮ জন আছে এরা হলেন একজন ইন্সপেক্টর, এ এস আই দুজন, কনস্টেবল ৫ জন যা এই দূর্গম এলাকার জন্য একে বারেই কম। এই ফাঁড়ির এক পুলিশ সদস্য জানান কোথাও অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে জানলে আমরা ট্রলার ভাড়া নিতে নিতেই অপরাধী চক্র লাপাত্তা। মেঘনা উপজেলার চারপাশ নদী। আসছে বর্ষাকাল। প্রতিবছরই এই সময়ে ডাকাত আতংকে নির্ঘুম রাত কাটান মেঘনাবাসী। নৌ পুলিশ ফাঁড়িতে পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগ ও ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থা, সহ আবাসিক ব্যবস্থা করতে পারলে অনেক দিক থেকে নৌ পথে অপরাধ প্রবণতা কমে আসবে জানান এলাকার সচেতন লোকজন। এ বিষয়ে চালিভাঙ্গা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোঃ আবু আব্দুল্লাহ’র সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে এই প্রতিবেদককে তিনি বলেন এই ফাঁড়ির দ্বায়িত্ব অনেক কিন্তু জনবল, ট্রান্সপোর্ট, সহ নানাবিধ সমস্যার মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে।