• বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৪৭ পূর্বাহ্ন

দেবরের পুরুষাঙ্গ কর্তন: ভাবির বিরুদ্ধে চার্জশিট

ডেস্ক রিপোর্ট / ১৮৪ বার পঠিত
আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৪ জুন, ২০২১

২৪ জুন ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

হত্যার উদ্দেশ্যে দেবরের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলার অভিযোগে করা মামলায় ভাবি ফাতেমা আক্তার সুমার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেন শাহবাগ থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা নিজামুদ্দিন ফকির।

তিনি বলেন, গত ৩ এপ্রিল ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক অমোল কৃষ্ণ দে ১৪ জনকে সাক্ষী করে এ চার্জশিট দাখিল করেন। এছাড়া মামলাটির চার্জশিট গ্রহণের জন্য আগামী ২৮ জুলাই দিন ধার্য রয়েছে।

জানা যায়, মামলার বাদীর ছোট ভাই ভুক্তভোগী সামিউল স্টিলের প্লেনসিটের দোকানে চাকরি করেন। তিনি তার বেতনের টাকা ভাবি ফাতেমার কাছে জমা রাখতেন। গত বছরের ৯ নভেম্বর সামিউল কেরানীগঞ্জের বাসা থেকে কাজের উদ্দেশ্যে বের হলে আসামি ফাতেমা তাকে ফোন দিয়ে জানান, তিনি বঙ্গবাজারে কেনাকাটা করে পীর ইয়ামেনি মার্কেটের সামনে যাবে। সেখানে ভুক্তভোগী সামিউলকে তার জমানো টাকা ফেরত দেবে।

এরপর ভুক্তভোগী সামিউল সেই টাকা নেয়ার জন্য পীর ইয়ামেনি মার্কেটের সামনে যান। তখন আসামি তাকে বলেন, রাস্তায় বসে তো পাঁচ লাখ টাকা দেয়া ঠিক হবে না। এরপর ভুক্তভোগী সামিউলকে আসামি ফাতেমা পীর ইয়ামেনি মার্কেটের আবাসিক হোটেলে নিয়ে যান। এ সময় ভুক্তভোগী সামিউলকে তিনি চেতনানাশক স্প্রে দিয়ে অজ্ঞান করেন। তারপর তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পুরুষাঙ্গের মাথা কেটে ফেলেন। এতে তার পুরা শরীর রক্তাক্ত হয়ে যায়।

তখন ফাতেমা ভুক্তভোগী সামিউলকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে পুরুষাঙ্গের কাটা অংশ দেখিয়ে বলে, বিয়ে করবি? তোর বিয়ের স্বাদ মিটিয়ে দিয়েছি। এ সময় আসামি ফাতেমা ভুক্তভোগী সামিউলকে বিষয়টি গোপন রাখতে হুমকি দেন। এরপর ফাতেমা তার অজ্ঞাত দু-তিনজন সহযোগীকে নিয়ে সামিউলকে সিএনজি করে ন্যাশনাল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসা না হওয়ায় তাকে মিটফোর্ড হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানেও চিকিৎসা না হওয়ায় সর্বশেষ আল মানার হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়।

এদিকে গত বছরের ২২ ডিসেম্বর ভুক্তভোগীর বড় ভাই বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেন। এরপর আসামি ফাতেমা আক্তার সুমাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারপর গত ২৩ ডিসেম্বর আসামি ফাতেমা আক্তার সুমাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক অমোল কৃষ্ণ দে। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়ার আদালত আসামি ফাতেমার দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত ২৬ ডিসেম্বর দুদিনের রিমান্ড শেষে আসামি ফাতেমা আক্তার সুমাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

পুরাতন সংবাদ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১