০১ জুলাই ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাম মহানগরীতে লকডাউন কেমন চলছে- তা দেখতে বের হয়ে ২৫ ব্যক্তি আটক হয়েছেন। এ সময় ৫টি গাড়িও জব্দ করা হয়। মামলা দায়ের করা হয়েছে আরো ১০টি গাড়ির বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরীর আগ্রাবাদ বাদামতলী মোড় এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এদিকে লকডাউনের প্রথম দিন আগ্রাবাদ এলাকা পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার সানা শামিমুর রহমান, উপ-কমিশনার (পশ্চিম) আব্দুল ওয়ারীশ, সহকারী কমিশনার (ডবলমুরিং) মাহমুদুল হাসান মামুন সহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা।
এ তথ্য নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন বলেন, যারা বিনা কারণে বাসা থেকে বের হয়ে অযথা ঘুরাফেরা করছে বা লকডাউন দেখতে বের হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত লকডাউন দেখতে বের হওয়া প্রায় ২৫ জনকে আটক করা হয়। পরে তাদের প্রাথমিকভাবে সতর্ক করে এবং মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এদিকে, চট্টগ্রামের ৪টি প্রবেশ মুখে চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহন এবং অকরনে বের হওয়ার সাধারণ মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। নগরজুড়ে সেনাবাহিনীর ৭টি টহল টিম দুটি চেক পোস্ট কাজ করছে। নগরীর প্রধান প্রবেশদ্বার একে খান গেইটে সেনাবাহিনীর চৌকস টিম অবস্থান ও যানবাহন নিয়ন্ত্রণ থামিয়ে বাইরে চলাচলের যৌক্তিক কারণ আছে কি-না তা পরীক্ষা করতে দেখা গেছে।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বৃহস্পতিবার ১ থেকে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। এ সময় জরুরিসেবা দেয়া দফতর-সংস্থা ছাড়া সরকারি-বেসরকারি অফিস, যন্ত্রচালিত যানবাহন, শপিংমল-দোকানপাট বন্ধ থাকবে। গণমাধ্যমসহ কিছু জরুরিসেবা এ বিধিনিষেধের আওতাবহির্ভূত থাকবে।
বুধবার (৩০ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জরুরি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহের কর্মচারী ও যানবাহন প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে যাতায়াত করতে পারবেন।
প্রজ্ঞাপন অনুসারে যারা চলাচল করতে পারবেন তারা হলেন- আইন-শৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন- কৃষি পণ্য ও উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, রাজস্ব আদায় সম্পর্কিত কার্যাবলি, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম, বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাকসেবা, ব্যাংক, ফার্মেসি ও ফার্মাসিউটিক্যালসসহ অন্যান্য জরুরি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহের কর্মচারী ও যানবাহন।