• রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫২ অপরাহ্ন

ধর্ষককে বাড়িতে আশ্রয় দিয়ে বউ হারালেন আশ্রয়দাতা

ডেস্ক রিপোর্ট / ২১৯ বার পঠিত
আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২ জুলাই, ২০২১

০২ জুলাই ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

ঢাকার ধামরাইয়ে জনি মিয়া নামে ধর্ষণ মামলার এক আসামিকে নিজ বাড়িতে আশ্রয় দিয়ে সুন্দরী বউ হারালেন শ্যামল মিয়া। বৃহস্পতিবার রাতে ধর্ষক জনি মিয়া শ্যামলের স্ত্রী আনমুনা আক্তার আখীকে নিয়ে উধাও হয়ে যায়। অযথা তাদেরকে না খোঁজার জন্য মোবাইলে শ্যামলকে তার স্ত্রী বলেছেন, আমি আমার মনের মানুষের সঙ্গে চলে এসেছি, তুমি তোমার চিন্তা করো, আমার চিন্তা তোমার আর করতে হবে না।

এরপর স্ত্রীর শোকে পাগলপ্রায় ওই আশ্রয়দাতা ওই ধর্ষক জনির নামে ধামরাই থানায় একটি অপহরণ মামলা করেছেন। শুক্রবার বিকালে তিনি বাদী হয়ে ওই ধর্ষকের বিরুদ্ধে এ মামলাটি দায়ের করেন বলে জানা গেছে। তার স্ত্রীকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শ্যামল মিয়া।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জনা গেছে, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সিনাবহ গ্রামের মৃত খন্দকার মোশারফ হোসেনের ছেলে জনি মিয়া চৌহাট গ্রামে তার নানা আদম আলীর বাড়িতে থাকার সুবাদে একই সাকিনের এক তরুণীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি রাতে ২ বার ধর্ষণ করে। এরপর ২৭ মার্চ ওই তরুণীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের ইচ্ছা পোষণ করলে সে তার তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার কথা জানায় এবং কাবিন রেজিস্ট্রি করে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। পরদিন কাবিন রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করার কথা বলে ওইদিন ওই তরুণীর সঙ্গে আবার সে শারীরিক সম্পর্ক করে। পরবর্তীতে বিয়ে না করে উল্টো গ্রামের কতিপয় অসাধু মাতবরদের সহায়তায় ওই মেয়ের গর্ভপাত ঘটাতে ব্যর্থ হয়ে একঘরে করে রাখে ওই তরুণীর পরিবারকে।

এ ঘটনায় ২ মে ধামরাই থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের হয়। এরপর ধর্ষক জনি কহেলা রাজাপুর গ্রামের মো. শ্যামল মিয়ার বাড়িতে গিয়ে আত্মগোপন করে। বন্ধুত্বের খাতিরে তাকে আশ্রয় দেন শ্যামল। এরপর শ্যামলের স্ত্রীর সঙ্গে ভাব জমে উঠে জনির। বৃহস্পতিবার রাতে শ্যামল বাড়িতে না থাকার সুযোগে তারা বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যায়। পরে তারা ওই রাতেই শ্যামলকে ফোন করে বলেন, আমরা একে অপরকে ভালোবেসে চলে এসেছি। আমাদের জন্য কোনো খোঁজাখুঁজি করে লাভ হবে না। এরপর শ্যামল নিরুপায় হয়ে শুক্রবার বিকালে ধামরাই থানায় একটি অপহরণ মামরা দায়ের করেন ওই ধর্ষকের বিরুদ্ধে।

আশ্রয়দাতা শ্যামল বলেন, আমার সরলতার সুযোগে এত বড় সর্বনাশ হলো। আমি একজন ধর্ষককে বন্ধুত্বের খাতিরে আশ্রয় দিয়ে মহা ভুল করেছি। আমার স্ত্রীকে আমি ফিরে পেতে চাই। তাকে ছাড়া আমি বাঁচব না।

ধামরাই থানার এসআই মশিউর রহমান বলেন, ধর্ষক আশ্রয়দাতার স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে ধামরাই থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের হয়েছে। তাকে দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

পুরাতন সংবাদ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১