০৩ জুলাই ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ
পাবনা সদরের দোগাছি ইউনিয়নের দক্ষিণ রামচন্দ্রপুরের ৭ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় মো. সুমন প্রামাণিক (৪০) নামে এক যুবককে প্রকাশ্যে দিনের বেলায় বাড়ির পাশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। ঘটনার পরে উত্তেজিত এলাকাবাসী হত্যায় অভিযুক্ত খুনিদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় তিনটি বসতঘর পুড়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দীর্ঘ এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
শনিবার (৩ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে এ হত্যার ঘটনা ঘটে।
সুমন প্রামাণিক শহর থেকে বাড়ি ফেরার পথে সন্ত্রাসীরা তার ওপর হামলা চালিয়েছে বলে পরিবারিক সূত্রে জানা গেছে। নিহত সুমন মৃত বাকী প্রামাণিকের ছেলে।
সুমন প্রামাণিকের স্ত্রী প্রত্যক্ষদর্শী রিমা খাতুন বলেন, আমার স্বামী অনন্ত বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। ঘটনার সময়ে একজন বাড়িতে এসে বলে সুমনকে কারা যেন মারছে। আমি দ্রুত সেখানে গিয়ে দেখি ওরা এলাকার আমাদের প্রতিবেশী টিটু, মিঠু, সঞ্জু, মান্না সবার হাতে ধারালো অস্ত্র। তারা আমার স্বামীকে কোপাচ্ছে। আমি বাধা দিতে গেলে তারা আমাকেও মারতে আসে। তাদের সঙ্গে তাদের পরিবারের অন্য সদস্যরাও ছিলো।
স্থানীয়রা সুমনকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা গেছে, সুমন প্রামাণিক প্রায় ৭ বছর বিদেশে ছিলেন। বিদেশ থেকে আসার পরে স্থানীয় দোগাছি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী হাসানের গাড়ি চালাতেন। সম্প্রতি তিনি সেই কাজ ছেড়ে দিয়ে বালুর ব্যবসা শুরু করেন। গত বছরে একই এলাকার কাউন্সিলর বকুল শেখকে হত্যা করা হয়। নিহত সুমন বকুল শেখের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। বকুল হত্যার ঘটনার সঙ্গে এই হত্যার সম্পর্ক থাকতে পারে বলে স্থানীয়রা ধারণা করছেন। তবে পরিবার এ হত্যাকাণ্ডের সঠিক কারণ বলতে পারেনি। কি কারণে কিসের জন্য তাকে হত্যা করা হয়েছে সেটা এখনো পরিষ্কার নয়। তবে হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি পরিবারসহ স্থানীয়দের।
পাবনা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, হত্যার বিষয়ে আমরা তদন্ত করছি। শত্রুতার জেরে এই হত্যার ঘটনা হয়ে থাকতে পারে। হত্যাকারীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান শুরু হয়েছে। আশা করছি খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে আসামিদের আইনের আওতায় নিয়ে আনা হবে।