২৭ নভেম্বর ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ওসমান গনি গজারিয়া প্রতিনিধিঃ
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নে পুরান বাউশিয়া হাই স্কুল সড়কে পানি ও চিনি দিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে ভেজাল তাল মিছরি। বিএসটিআই ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়াই তৈরি এসব মিছরি ছড়িয়ে জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের হাট-বাজারে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, খাঁটি তালের রস জ্বাল দিয়ে একটি পাত্রে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় চট দিয়ে ঢেকে রাখার কথা বদ্ধ ঘরে। সপ্তাহখানেক পর ওপর ও নিচের অংশ শুকিয়ে দানা আকারে তাল মিছরি তৈরি হওয়ার নিয়ম।
তাল মিছরি হার্নিয়, হার্ডের সমস্যা, সর্দি কাশির উপশম, চোখের দৃষ্টি বাড়ানো, কিডনি স্টোন, পেটে ব্যথা, নাক দিয়ে রক্ত পড়া, মুখের আলসার, কন্সটিপেশন, গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ, ডায়রিয়া, শিশুদের ব্রেন ডেভেলপমেন্ট, আর্থারাইটিস, শ্বাসপ্রশ্বাস জনিত সমস্যা, স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য ও তালমিছরি খুব উপকারী। কিন্তু পুরান বাউশিয়া গ্রামে তৈরি তাল মিছরি স্বাস্থ্যের জন্য চরম ক্ষতিকর বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নে পুরান বাউশিয়া হাই স্কুল রোড সংলগ্ন হাসিনা ফুড প্রোডাক্ট নামে বিএসটিআই অনুমোদন ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে ভেজাল মিছরি উৎপাদন করে বাজারজাত করছে। প্যকেটে মিছরি তৈরীতে চিনি, পানি ও দুধের কথা উল্লেখ করলেও দুধ ছাড়াই পানি আর চিনি দিয়ে তৈরী হয় ‘অরজিনাল হাসিনা তাল মিছরি। ১কেজি করে প্রতিটি প্যাকেট তৈরী করা হয়। মান নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই ক্রেতা ও বিক্রেতাদের আগ্রহ দৃষ্টি আকর্ষণ করতে প্যাকেটের মোড়কে মেয়াদোত্তীর্ণ সীল ব্যবহার করছে।
এদিকে কারখানার শ্রমিকরা মিছরিগুলো গ্লাভ ছাড়াই প্যাকেটজাত করছেন। তারাও জানালেন, মাঝে মাঝে মিছরি তৈরীতে ছানা ব্যবহার করা হয়। ছানাগুলো অনেকদিনের পুরনো। বেশিরভাগ সময় পানি ও চিনি দিয়ে তাল মিছরি তৈরী হয়। এ বিষয়ে কারখানার মালিক হক মিয়া বলেন, অনুমোদন নিয়েই মিছরি তৈরী করা হচ্ছে। চিনি ও পানি দিয়ে তিনি নিজেই মিছরি তৈরীর কথা স্বীকার করেন। তিনি আরো বলেন, সারা দেশে এ ভাবেই চিনি ও পানি জালিয়ে তাল মিছরি তৈরি করে, তাহলে আমি করলে দোষ কি ? উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক ফারহানা জানান ইতিপূর্বে একাধিকবার জরিমানা করার পরেও তারা স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে নিয়ম মেনে পরিচালনা করতেছে না আগামীতে এ বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।