২৮ নভেম্বর ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ
ইউপি নির্বাচনে নরসিংদীতে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের হামলায় কমপক্ষে ২০ জন গুলিবিদ্ধসহ ৫০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধর করে সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে অবস্থার অবনতি হলে পাঁচজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
রোববার (২৮ নভেম্বর) নরসিংদীর চরাঞ্চল করিমপুর, নজরপুরের দিলারপুর, কালাই, গোবিন্দপুর, শীলমান্দি ও আমদিয়া এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলে। দুপুর ১২টার দিকে নজরপুর ইউনিয়নের দিলাপুর কেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টাকে কেন্দ্র করে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। পরে ভোটগ্রহণ স্থগিত করেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে আধাঘণ্টা পর পুনরায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
অন্যদিকে দুপুর ১টার দিকে করিমপুর ১ নম্বর কেন্দ্রে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকরা কেন্দ্র দখলের চেষ্টা চালান। এসময় নৌকার সমর্থকরা বাধা দিতে গেলে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এসময় এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করা হয়। এতে কমপক্ষে ২০ জন গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন। গুলিবিদ্ধ পাঁচজনকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়।
দুর্গম চরাঞ্চল কালাই গোবিন্দপুরে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কেন্দ্র দখল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে ফের ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
আমদিয়া, শীলমান্দি ও চিনিশপুরে কেন্দ্রের বাইরে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে জাল ভোট, কেন্দ্র দখল ও হত্যার হুমকির অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন ভূইয়া রিপন। তিনি বলেন, কোথাও সুষ্ঠুভাবে ভোট হয়নি। নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা জোর করে কেন্দ্র দখল করেছেন ও জাল ভোট দিয়েছেন। আমাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
নরসিংদী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সওগাতুল আলম বলেন, কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা বাদে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।