কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার শরিফপুর এলাকায় ফাহিম হোসেনকে (১৩) পাখির ছানার লোভ দেখিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যার ২২ দিন পর আসামিকে আটকের মাধ্যমে রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।
আটক আসামিকে সোমবার বিকালে কুমিল্লা আদালতে নেয়া হলে হত্যার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে সে। মোঃ সুমন (২৮) একই গ্রামের মোঃ আনোয়ার হোসেনের ছেলে। নিহত ফাহিম হোসেন শরিফপুর গ্রামের নিঃসন্তান কৃষক মন্তাজ উদ্দিনের দত্তক নেয়া সন্তান।
আদালতে সুমন বলেন, সে ও আরেক আসামি শরীফ ভালো বন্ধু। ঘটনার কয়েক দিন পূর্বে শরীফ শিশুটির চাচা আবদুল মতিনের একটি রেকডিং শুনায়। যেখানে মতিনকে বলতে শুনা যায়, শিশু ফাহিমকে হত্যার কথা। এর কয়েকদিন পর শরীফ সুমনকে ফোন করে আসতে বলে। সুমন সন্ধ্যার পর আসলে শরীফ শিশু ফাহিমকে নিয়ে আসে। পরে কাঁঠাল গাছে পাখির ছানা আছে বলে শিশু ফাহিমকে ডেকে নিয়ে যায়। ছাদে উঠার মূল ফটক তালাবদ্ধ থাকায় আসামি শরীফ শিশুটিকে কাঁধে নিয়ে কাঁঠাল গাছ চড়ে ছাদে উঠে। ছাদে উঠার পর ফাহিমকে নাক মুখ চেপে ধরে হত্যা করে। শিশুটিকে ভবনের একটি কক্ষে রেখে চলে যায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাজী হাসান উদ্দিন আদালতের বরাত দিয়ে বলেন, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত ৩ টায় বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের শরিফপুর গ্রামের শিশুর চাচা আবদুল মতিনের নির্মাণাধীন তালাবদ্ধ ঘরের একটি কক্ষ থেকে ফাহিম হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিলো। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকেই পুলিশ হত্যার রহস্যা উদঘাটনে কাজ করতে থাকে। প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামি সুমনকে শনাক্ত করা হয়। রবিবার রাতে তাকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সুমন হত্যাকাণ্ডে জড়িত আরো একজনের নাম প্রকাশসহ স্বীকারোক্তি দেয়।
পরবর্তীতে সোমবার দুপুরে কুমিল্লা জ্যেষ্ঠ নির্বাহী বিচারক আদালতে নেয়া হলে বিচারকের সামনে হত্যার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেয়।