ডেস্ক রিপোর্ট।।
সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের সাবেক উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আবুল কালাম মোহম্মদ জহুরুল আলম (৬৪) ও তার স্ত্রী ফাতেমা জহুরার (৬১) বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়ার পরে সোমবার (১১ মার্চ) বিকেলে দুদকের পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাধন চন্দ্র সূত্রধর বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন দুদক পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ পরিচালক মো. খায়রুল হক।
উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আবুল কালাম মোহাম্মদ জহুরুল আলম বগুড়া পৌর শহরের মালতিনগর মহল্লার আব্দুল আজিজ খানের ছেলে। তিনি বর্তমানে অবসরে রয়েছেন।
দুদকের পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে আবুল কালামের স্ত্রী মেসার্স ফাতেমা কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী ফাতেমা জহুরার বিরুদ্ধে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগ তদন্তের অংশ হিসেবে ২০২২ সালের ১৪ জুন দুদক তার কাছে সম্পদের বিবরণী চেয়ে চিঠি দেয়। ওই বছরের ২০ সেপ্টেম্বর পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সম্পদ বিবরণী জমা দেন ফাতেমা জহুরা। তাতে স্থাবর ও অস্থাবর মিলিয়ে এক কোটি ৯৩ লাখ ৬৬ হাজার ৮৬৭ টাকার সম্পদের হিসাব দেন তিনি। এছাড়া একই সময়ে ফাতেমা জহুরা পারিবারিক ও অন্যান্য খাতে ২৪ লাখ ৫৫ হাজার ৯১৮ টাকা ব্যয় করেন।
দুদকের ভাষ্য, তার গ্রহণযোগ্য আয় এক কোটি ৭১ লাখ ৬১ হাজার ১৬৩ টাকা বাদ দিলে ৫৩ লাখ ৩৫ হাজার ৩১৩ টাকার সম্পদের উৎস দেখাতে পারেননি ফাতেমা জহুরা। এ অবস্থায় দুদক অনুসন্ধানকালে নিশ্চিত হয় ফাতেমা জহুরার স্বামী সিরাজগঞ্জ সওজের সাবেক উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আবুল কালাম ঘুষ ও দুনীতির মাধ্যমে এ সম্পদ অর্জন করেছেন। স্বামী হিসেবে স্ত্রীকে প্রত্যক্ষভাবে আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের সহযোগিতা করায় তার বিরুদ্ধেও মামলা করা হয়েছে।
দুদকের পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. খায়রুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রাথমিক অনুসন্ধানে আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের নামে মামলা করা হয়েছে। আমাদের সহকারী পরিচালক সাধন চন্দ্র সূত্রধর বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলাটির তদন্তও দুদকই করবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।