শাহারুখ আহমেদঃ সোনারগাঁ উপজেলার এসিল্যান্ড অফিসের সার্ভেয়ারের সহযোগীর ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অত্র উপজেলার ভাগলপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জামাল মোল্লা প্রতিবাদ করায় লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পরবর্তীতে তিনি ওই অফিসে গেলে এসিল্যান্ড তাকে লাঞ্ছিত করে বের করে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। এবিষয়ে প্রতিকার চেয়ে রোববার তিনি মন্ত্রীপরিষদ সচিব ও ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে পৃথক অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জামাল মোল্লা ‘এক ইঞ্চি জমিও যাতে অনাবাদি না থাকে’ প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণা অনুসারে চাষাবাদের জন্য তার জমির পাশে একটি অনাবাদি জমির বন্দোবস্ত চান। টানা ৬ মাসেরও অধিক সময় ধরে ঐ আবদেনটি সোনারগাঁ ভূমি অফিসে পরে থাকে। সম্প্রতি এ বিষয়ে খোঁজ নিতে এসিল্যান্ড অফিসের সার্ভেয়ারের সহযোগী হিসেবে কাজ করা উমেদার মোঃ সোহাগ কাজ সম্পন্ন করে দিবে বলে মোঃ জামাল মোল্লার নিকট এক লক্ষ্য টাকা দাবি করেন৷ বৃহস্পতিবার এসিল্যান্ড অফিসে গিয়ে এ ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে এসিল্যান্ড আল মামুন তাকে অপমান করে অফিস থেকে বের করে দিয়েছেন বলে মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জামাল মোল্লা অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সূত্রে আরো জানা গেছে, সার্ভেয়ার ঐ জমি সরেজমিনে দুই বার পরিদর্শনের পর জামাল মোল্লার পক্ষে মতামত দিলেও সোহাগ এবং এসিল্যান্ড আল মামুন উভয়ের যোগশাজসে ঘুষ নেয়ার জন্য হয়রানি করে আসছে। এসিল্যান্ড অফিসের নিয়োগ করা কোন কর্মচারী না হয়েও দীর্ঘদিন ধরে কর্মকর্তাদের সঙ্গে আঁতাত করে এভাবে ফাইল আটকে হয়রানির মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছ থেকে মোটা অংকের ঘুষ আদায় করে আসছে উমেদার সোহাগ। বহু বছর ধরে এই সমস্ত প্রক্রিয়ায় ঘুষ আদায় করে কোটি কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন দুর্নীতিবাজ উমেদার সোহাগ।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল মামুন বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য নয়। বিষয়টি সার্ভেয়ার পর পর দুইবার পরিদর্শন করে নাল জমি হিসেবে রিপোর্ট দিলে আমি নাল জমি হিসেবে বন্দোবস্ত দেয়া যেতে পারে সুপারিশ করে ফাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছি। তিনি বলেন, আমার বাবাও একজন মুক্তিযোদ্ধা। ওনার সঙ্গে অসাদাচরণ করা হয়নি। যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করেই ওনার সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু উনি কেনো আমার বিরুদ্ধে এরুপ অভিযোগ তুললেন, সেটা আমার বোধগম্য নয়।