৩৮তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ হয়েও যারা ক্যাডার পাননি তাদের মধ্য থেকে ৫৪১ জনকে প্রথম শ্রেণির নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের সুপারিশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।
মঙ্গলবার বিকেলে পিএসসির চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় এ ফলাফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরে পিএসসি’র ওয়েবসাইটে ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।
সুপারিশপ্রাপ্তদের তালিকা www.bpsc.gov.bd এবং http://bpsc.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
৩৮তম বিসিএসের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও পদ স্বল্পতায় ছয় হাজার ১৭৩ জন ক্যাডার পদে নিয়োগের সুপারিশ পাননি। তাদের মধ্য থেকে প্রথম শ্রেণির নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য পাঁচ হাজার ৩২ জন কমিশনে আবেদন করেন।
সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সমাজসেবা অধিদফতরের সমাজসেবা কর্মকর্তা/সমমান পদে ১১১ জন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট পদে ৬২ জন এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার পদে ৩৩ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে।
এছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের সহকারী প্রকৌশলী (পুর) পদে ৮৫ জন এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক পদে ১৯ জনসহ ৫৩টি ক্যাটাগরিতে মোট ৫৪১ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করেছে পিএসসি।
৩৮ বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করে বিভিন্ন ক্যাডারে দুই হাজার ২০৪ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করে পিএসসি।
চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও যারা ক্যাডার পান না, তাদের মধ্য থেকে প্রথম শ্রেণির নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয় ৩১তম বিসিএস থেকে। বিসিএসে উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে (যারা ক্যাডার পায়নি) দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দিতে ২০১৪ সালের ১৬ জুন নন-ক্যাডার পদের নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করে সরকার। বিসিএসের চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও যারা ক্যাডার পায়নি তাদের মধ্য থেকে যারা প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ পেতে চান, তাদের আলাদাভাবে কমিশনে আবেদন করতে হয়।
২০১৭ সালের ২০ জুন ৩৮তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। ওই বছরের ২৯ ডিসেম্বর ৩৮তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় চার লাখ পরীক্ষার্থী আবেদন করেছিলেন। ২০১৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ৩৮তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে পিএসসি। এতে ১৬ হাজার ২৮৬ জন উত্তীর্ণ হন। গত বছরের ৮ আগস্ট এই বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়। এতে ৯ হাজার ৮৬২জনকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য মনোনীত করা হয়।