• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:১৩ পূর্বাহ্ন

কভিড ভ্যাকসিনের বাজার হতে পারে হাজার কোটি ডলারের

রিপোর্টার : / ২২২ বার পঠিত
আপডেট টাইম : রবিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২০

কভিড ভ্যাকসিনের সামনে বড় অংকের বাজার হাতছানি দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলোর জন্য বছরে ১ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের বাজার অপেক্ষা করছে। এমনকি কিছু কোম্পানি এ মহামারীর সময়ে অলাভজনকভাবে ভ্যাকসিন সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিলেও

মর্গান স্ট্যানলি অ্যান্ড ক্রেডিট সুইসের বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন খুব সম্ভবত মানুষকে ফ্লু ভ্যাকসিনের মতো নিয়মিতভাবে কভিড ভ্যাকসিনও নিতে হবে। কভিড-১৯-এর ভ্যাকসিনের প্রতি ডোজের দাম হতে পারে গড়ে ২০ ডলার। প্রতি ডোজের দাম পড়বে ৩ থেকে ৩৭ ডলার।

মর্গান স্ট্যানলির আনালিস্ট ম্যাথিউ হ্যারিসন হিসাব করে দেখেছেন প্রতি বছর যত মানুষ ফ্লু শট গ্রহণ করে শুধু তারাই যদি কভিড ভ্যাকসিন নেয় তাহলেই এ ভ্যাকসিনের বার্ষিক বাজার দাঁড়াবে ১০ বিলিয়ন ডলারের। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও অন্য উন্নত দেশগুলোতেই তৈরি হবে এ বাজার। এক্ষেত্রে কভিড ভ্যাকসিনের প্রতি ডোজের উৎপাদন খরচ ধরা হয়েছে ৫ থেকে ১০ ডলার।

ম্যাথিউ হ্যারিসন বলেন, ভ্যাকসিনের বাজারের আকার নির্ভর করবে এটি মানুষকে প্রতি বছর নিতে হবে নাকি আরো কম সময়ের ব্যবধানে। সঙ্গে ভ্যাকসিনেশনের হারও আমলে নিতে হবে। এসব ধরে বছরে বৈশ্বিকভাবে কভিড-১৯ ভ্যাকসিনের বাজার হতে পারে ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা আড়াই হাজার কোটি ডলারের।

ক্রেডিট সুইসের বিশ্লেষক ইভান সিজারম্যান বলেছেন, শুধু যুক্তরাষ্ট্রের বাজারই হতে পারে ১০ বিলিয়ন ডলারের। এক্ষেত্রে ফাইজারের ভ্যাকসিনের দাম প্রতি ডোজ ১৯ দশমিক পাঁচ শূন্য ধরা হয়েছে। এবং ধারণা করা হচ্ছে ৩৩ কোটি নাগরিক বছরে দুই ডোজ গ্রহণ করবে।

অ্যাস্ট্রাজেনেকার নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট মিন প্যানগালোজ বলেছেন যে ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডের সঙ্গে মিলে তারা যে ভ্যাকসিন তৈরি করছেন সেটি কমপক্ষে এক বছর কিংবা তার বেশি সময় সুরক্ষা দিতে পারবে। মহামারী পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকায় গত কয়েক মাসে ভ্যাকসিন উৎপাদকরা সরকারগুলোর কাছ থেকে কয়েকশ কোটি ডলার পেয়েছে দ্রুত ভ্যাকসিন বাজারে আনার জন্য। যুক্তরাজ্যের সরকার মে মাসে ভ্যাকসিন গবেষণার জন্য ৮৪ মিলিয়ন পাউন্ড অনুদান দিয়েছে। এর মধ্যে ৬৫ দশমিক ৫ মিলিয়ন দেয়া হয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও অক্সফোর্ডের ট্রায়ালে। ১৮ দশমিক ৫ মিলিয়ন দেয়া হয়েছে ইম্পেরিয়াল কলেজে। অন্যদিকে অ্যাস্ট্রাজেনেকা থেকে ৩০ কোটি ডোজ কেনার জন্য যুক্তরাজ্য সরকার তাদের সঙ্গে ১২০ কোটি মার্কিন ডলারের চুক্তি করেছে।

অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও যুক্তরাষ্ট্রের জনসন অ্যান্ড জনসন মহামারীকালে তাদের ভ্যাকসিন অলাভজনকভাবে বিক্রির সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। তবে ফাইজার ও মডার্না ভিন্ন অবস্থান নিয়েছে। আর্থিক ক্ষতির মুখে থাকা মডার্না ভ্যাকসিনের গবেষণার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের কাছ থেকে ১০০ কোটি ডলার পেয়েছে। তারা তাদের ভ্যাকসিন প্রতি শট ৩৭ মার্কিন ডলারে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

দ্য গার্ডিয়ান


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

পুরাতন সংবাদ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১