২৯ নভেম্বর ২০২০, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ
কয়েকদিনের মধ্যে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর শুরু হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে ভাসানচরে যেতে এ পর্যন্ত পাঁচ হাজার রোহিঙ্গা রেজিস্ট্রেশন করেছে বলে জানিয়েছেন, শরনার্থী বিষয়ক কমিশনার। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, সরকারের নির্দেশনা পেলেই ভাসানচরে রোহিঙ্গা স্থানান্তর শুরু হবে।
মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার হওয়ায় দফায় দফায় বাংলাদেশে পালিয়ে এসে কক্সবাজারে আশ্রয় নিয়েছে ১২ লাখ রোহিঙ্গা। এতে বিপর্যয়ের মুখে পড়ে কক্সবাজার জেলার পরিবেশ ও আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি। হুমকিতে পড়ে আইনশৃংখলা পরিস্থিতিও।
সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আশ্রিত রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ইতিমধ্যে নোয়াখালীর ভাসানচরে নির্মাণ শেষ হয়েছে অস্থায়ী আশ্রায়ণ প্রকল্পের। সাগরের মাঝে গড়ে ওঠা নিরাপদ, সুরক্ষিত এবং পরিবেশসম্মত এই নগরীতে একসঙ্গে থাকতে পারবে এক লাখ মানুষ। থাকছে ২৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ, হাসাপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, থানা, বাজার এবং ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র। এতিমখানা, ডে-কেয়ার সেন্টার এবং সুপারশপের জন্য করা হয়েছে আলাদা ভবন।
এরইমধ্যে জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা এবং এনজিওগুলোর প্রতিনিধিরা প্রকল্পটি ঘুরে দেখেছেন। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন জানিয়েছেন, শেষ পর্যন্ত ভাসানচরে রোহিঙ্গা স্থানান্তরের কাজ শুরু হতে যাচ্ছে শিগগিরই।
স্থানান্তরের প্রস্তুতি চলছে। এরইমধ্যে ৫ হাজার রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যেতে নাম তালিকাভুক্ত করেছে। সপ্তাহখানেকের মধ্যে রোহিঙ্গাদের প্রথম দল ভাসানচরে স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে আশা করছেন শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ্ রেজওয়ান হায়াত। পর্যায়ক্রমে এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি।
কিছুটা বিলম্বিত হলেও রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নেয়া শুরু হতে যাওয়াকে ইতিবাচক বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।