১৭ ডিসেম্বর ২০২০, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ
বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন ধর্ষণ কিনা, এ ব্যাপারে এক ঐতিহাসিক রায় দিয়েছেন দিল্লির হাইকোর্ট। হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়েছে, কোনো নারী যদি একজন পুরুষের সঙ্গে বিয়ে হবে, এমন ধারণা বা আশ্বাসের ভিত্তিতে দীর্ঘদিন ধরে নিজের সম্মতিতে শারীরিক সম্পর্ক বজায় রাখেন, তাহলে ওই সম্পর্ককে ধর্ষণ হিসেবে গণ্য করা হবে না।
বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) হাইকোর্ট এক নারীর মামলার ভিত্তিতে এ রায় দেন। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
ওই নারীর মামলার আবেদনে বলা হয়েছিল, ভবিষ্যতে বিয়ে হবে, এমন আশ্বাসের ভিত্তিতে তিনি একজন পুরুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে সম্মত হয়েছিলেন। কিন্তু এখন পুরুষটি তার সিদ্ধান্ত পাল্টেছে এবং তাকে বিয়ে করবে না বলে জানিয়েছে। আদালত সব কিছু বিবেচনা করে এটাকে ধর্ষণ বলা যাবে না বলে রায় দেন।
রায়ের ব্যাখ্যায় বিচারক বিভু বখরু বলেন, বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে পরে বিয়ে না করার সিদ্ধান্তকে তখনই অপরাধ বলে বিবেচনা করা হবে, যখন কোনো এক পক্ষ নিজেকে প্রতারণার শিকার হয়েছে বলে মনে করবে। কিন্তু এই মামলায় ধর্ষিতা নিজেই বলেছেন, শারীরিক সম্পর্কের ব্যাপারে তার নিজেরই সম্মতি ছিল। সুতরাং এটাকে ধর্ষণ বলা যাবে না।
বিচারক বলেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নারীরাই বিয়ের প্রলোভনের শিকার হয়ে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপনে সম্মত হন। সেক্ষেত্রে এটাকে ধর্ষণ বলা যেতে পারে। অবশ্য এধরনের ক্ষেত্রে পারস্পরিক সম্মতিতে সম্পর্ক হলেও বিচারের সময় যুবতীর মত ছিল না বলেই মনে করা যেতে পারে। তাই ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী এটাকে ধর্ষণের ঘটনা ধরে রায় দেয়া যায়। কিন্তু এধরনের সম্পর্ক যখন দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকে, তখন এটাকে আর ধর্ষণ বলে বিবেচনা করা সঙ্গত নয়।
যুবতীর ওই মামলায় এর আগে ট্রায়াল কোর্টে তাকে খালাস দেয়া হয়েছিল। পরে হাইকোর্টও ওই রায়কে সঠিক বলে বিবেচনা করেন।