১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ইং, আজকের মেঘনা ডটকম,
অনলাইন ডেস্ক।।
দিল্লিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের সময় ভারতে মানবাধিকার ও স্বাধীন গণমাধ্যমের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানালেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সম্মেলন থেকে ভিয়েতনাম সফরে গিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান। বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তবে আলাপচারিতায় মানবাধিকার ও স্বাধীন গণমাধ্যমের ইস্যুতে মোদি কি বলেছেন তা নিয়ে বিস্তারিত বলেননি বাইডেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জানান, দিল্লিতে অবস্থানকালে মোদির সঙ্গে দ্বি-পক্ষীয় বৈঠক হয়েছে তার। সেখানে ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুত্বকে আরও জোরদার করার আশা প্রকাশ করা হয়।
বাইডেন বলেন, ‘বরাবরের মতোই, মানবাধিকারকে সম্মান করা এবং শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ দেশ গড়তে সুশীল সমাজ ও মুক্ত সংবাদমাধ্যমের ভূমিকার গুরুত্ব নরেন্দ্র মোদির কাছে তুলে ধরেছি।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের এই বক্তব্য সমালোচিত হচ্ছে ভারতে। ইন্ডিয়া টুডের খবরে বলা হয়েছে, কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ ‘এক্স’ প্ল্যাটফর্মে (টুইটার) বলেন, ‘কোনো সংবাদ সম্মেলন করব না, করতেও দেব না- এই প্রবণতার কোনো প্রভাবই দেখা গেল না।’
সমালোচকেরা বলে থাকেন, নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ২০১৪ সালে বিজেপি ভারতের ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেশটিতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, বিশেষ করে মুসলিমদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা অনেক বেশি বেড়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও সরকার বরাবরই এসব অভিযোগকে অস্বীকার করে আসছে।
রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার (আরএসএফ) গত মে মাসে প্রকাশ করেছে বিশ্ব প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স। গণমাধ্যমের স্বাধীনতার এই সূচকে গত বছরের অবস্থান ১৬১ থেকে এ বছর আরও ১১ ধাপ পিছিয়েছে ভারত।
নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ভারতের মানবাধিকার ইস্যু ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলার জন্য জো বাইডেনসহ পশ্চিমা নেতাদের প্রতি বেশ আগে থেকেই আহ্বান জানিয়ে আসছেন মানবাধিকার কর্মীরা। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনের উত্থান রোধ করার প্রচেষ্টায় ভারতকে একটি গুরুত্বপূর্ণ মিত্র হিসেবে দেখা হচ্ছে বলে যুক্তরাষ্ট্র এসব ইস্যুতে সতর্কতা অবলম্বন করবে।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত কোনো একান্ত সংবাদ সম্মেলন করেননি নরেন্দ্র মোদি। এ ছাড়া, জি-২০ সম্মেলনে মোদি বক্তব্য দেওয়ার পর সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্ন করার সুযোগ দেওয়া হয়নি।