০১ জানুয়ারী ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ
আসামে ৭০০টি মাদ্রাসা বন্ধ করে দেয়ার জন্য আইন প্রণয়ন করেছে রাজ্য সরকার। এ নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
বিজেপি শাসিত আসামে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সমস্ত মাদ্রাসা। সম্প্রতি আসাম বিধানসভায় এই আইন পাস হয়েছে। যা নিয়ে রাজ্য জুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিরোধী শিবিরের দাবি, আরো একটি মুসলিম বিরোধী পদক্ষেপ নিল বিজেপি। অন্য দিকে বিজেপির দাবি, প্রতিটি মাদ্রাসাকেই সরকারি স্কুলে পরিণত করা হবে। এর ফলে মুসলিমরাই উন্নত শিক্ষা পাবেন।
আসামে প্রায় ৭০০টি নথিভুক্ত মাদ্রাসা রয়েছে। প্রতিটি মাদ্রাসাই একটি বোর্ডের অন্তর্গত। বিজেপি আসামে ক্ষমতায় আসার পরেই ঘোষণা করেছিল, মাদ্রাসার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ, মাদ্রাসায় ধর্মীয শিক্ষা দেওয়া হয়। ওই শিক্ষা গ্রহণ করে সাধারণ মুসলিম ছাত্রছাত্রীরা মূলস্রোতে কাজের সুযোগ পায় না। যদিও বিজেপির এই দাবির সঙ্গে সমস্ত রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় শিবির এক মত নয়। তবে বিজেপি নিজের বক্তব্য থেকে সরেনি। তারই প্রতিফলন ঘটেছে নতুন আইনে। আসামে বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মাদ্রাসায় পড়ে ছাত্ররা মসজিদের ইমাম তৈরি হয়। কিন্তু মূলস্রোতের কাজে সুযোগ পায় না। নতুন আইনে প্রতিটি মাদ্রাসাকে সরকারি স্কুলে পরিণত করা হবে। ছাত্ররা সেখানে পড়াশোনা করে সরকারি কাজে যোগ দেওয়ার সুযোগ পাবে।
যদিও মাদ্রাসাগুলিকে সরকারি স্কুলে পরিণত করা যাবে কি না, তা নিয়ে দ্বন্দ্ব আছে। যে সমস্ত মাদ্রাসা ব্যক্তিগত বা কোনো বোর্ডের মালিকানাধীন, তারা সরকারকে তা দিতে রাজি হবে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন আছে।
আসামে কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ নেতা ওয়াজেদ আলি চৌধুরীর বক্তব্য, সরকারি কাজের টোপ দিয়ে মুসলিম বিরোধী পদক্ষেপ নিয়েছে বিজেপি সরকার। মাদ্রাসা বন্ধ করে মুসলিমদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করা হচ্ছে।
সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের ১০০ জন আইএএস এবং আইপিএস অফিসার সরকারকে একটি চিঠি দিয়েছে। যাত বলা হয়েছে, লাভ জিহাদ নিয়ে সরকার যে আইন প্রণয়ন করেছে, তা মুসলিম বিরোধী। আসামের নতুন আইন নিয়েও সেই একই অভিযোগ উঠছে। সূত্র: ডয়েচে ভেলে।