১১ জুন ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) ঘটনাবহুল ম্যাচে আবাহনী লিমিটেডকে বৃষ্টি আইনে ৩১ রানে হারিয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। এই ম্যাচে আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে স্টাম্প ভেঙে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন মোহামেডানের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
আবাহনীর ইনিংসের মাঝ পথে দফায় দফায় মেজাজ হারিয়েছেন এই অলরাউন্ডার। এই সময় আবাহনীর প্রধান কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান সাকিব। যদিও এই ঘটনার পরও ম্যাচটি সম্পন্ন হয়েছে। এই হাই ভোল্টেজ ম্যাচে আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে সংগ্রহ করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রান করেছে সাকিবের মোহামেডান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে আবাহনী। তারা দলীয় ২৫ রানের মধ্যেই টপ অর্ডারের ৩ উইকেট হারায়।
নিজের প্রথম ওভার করতে এসে শেষ বলে আবাহনীর অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের বিপক্ষে এলবিডব্লিউয়ের আবেদন করেছিলেন সাকিব। তবে আউট না দেয়ায় লাথি মেরে স্টাম্প ভাঙেন সাকিব। ওভার শেষে তিন স্টাম্প উঠিয়ে আম্পায়ারের দিকে আবারো তেড়ে যান তিনি। এরপরই বৃষ্টির কারণে ম্যাচ বন্ধ করেন আম্পায়াররা। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারের প্রথম দুই বলে চার মারেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তৃতীয় বল ডট হলেও পরের দুই বলে হয়েছে একটি করে রান। ষষ্ঠ ওভার শেষ হওয়ার এক বল বাকি থাকতেই বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ করে দেয় আম্পায়াররা। যা নিয়ে সাকিব আম্পায়ারদের সঙ্গে তর্ক করেন এবং পরবর্তীতে সুজনের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান।
বৃষ্টির কারণে ম্যাচ নিয়ে আসা হয়ে ৯ ওভারে। যেখানে জয়ের জন্য আবাহনীকে টার্গেট দেয়া হয়েছে ৭৬ রান। বৃষ্টির পর ৩ উইকেটে ৩১ রান নিয়ে খেলতে নেমে পরের ১৯ বলের মধ্যে আরও ৩ উইকেট হারায় আবাহনী। তারা যোগ করতে পেরেছে কেবল ১৩ রান। বৃষ্টির পর তাসকিন আহমেদ একাই নেন ২ উইকেট। এ ছাড়া এক উইকেট নেন আবু জায়েদ রাহী। এর আগে আবাহনীর প্রথম তিন উইকেটই তুলে নিয়েছিলেন শুভাগত হোম। এই ম্যাচের শুরুতে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন মোহামেডান অধিনায়ক সাকিব। দুই ওপেনার আব্দুল মজিদ ও পারভেজ হোসেন মিলে ওপেনিং জুটিতে যোগ করেন ৩৭ রান। দ্রুত রান তুলতে থাকা ইমন ২৬ বলে ২৬ রান করে সাজঘরে ফিরে যান।
এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি অন্য ওপেনার মজিদ। এই ওপেনার আউট হয়েছেন ১৮ বলে ১৬ রান করে। মোহামেডানের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ইরফান শুক্কুর আগের দুই ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি ফিরে গেছেন মাত্র ১৪ রান করে। শামসুর রহমানকে নিয়ে মোহামেডানের বিপর্যয় সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তবে শামসুর ১ রান করে ফিরে গেলে সব দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন সাকিব। ব্যাট হাতে মারমুখী হন তিনি।
ব্যক্তিগত ৩৫ রানে তাকে লং অফে জীবন দেন আবাহনীর অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে উড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন সাকিব তবে সেই বল লুফে নিতে পারেননি মোসাদ্দেক। এরপর ব্যক্তিগত ৩৭ রানে সাইফউদ্দিনের বলেই থার্ড ম্যান অঞ্চলে আরাফাত সানির হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। সাকিবের ২৭ বলের এই ইনিংসটি সাজানো ছিল ১টি চার ও ২টি ছক্কায়। শুভাগত হোম বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। তিনি আউট হয়ে যান ৩ বলে মাত্র ১ রান করে। মাহমুদুল হাসান ৩০ ও আবু হায়দার রনি ১২ রান করে অপরাজিত থেকে মোহামেডানকে রানের মাঝারি পুঁজি এনে দেন।