ক্রীড়া ডেস্ক :
তিনবার ফাইনালে খেলে এর আগে বিপিএলের ইতিহাসে কখনো বরিশালের কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি শিরোপা জেতেনি। গতকাল রংপুর রাইডার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ফরচুন বরিশাল ফাইনাল নিশ্চিত করায় আরেকটি সুযোগ পাচ্ছে তারা। ২০২২ বিপিএলের পর দ্বিতীয়বারের মতো ফরচুন বরিশাল ফাইনালে উঠেছে।
অন্যদিকে বরিশালের প্রতিপক্ষ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসও সমান উইকেটের ব্যবধানে এই রংপুরকে হারিয়েই আগে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে। ২০২২ সালে কুমিল্লার কাছে ১ রানে হেরেই শিরোপাজয়ের স্বপ্ন জলাঞ্জলি দিতে হয়েছিল ফরচুন বরিশালকে। এবার সেই প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে তারা।
টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সর্বোচ্চ চারবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা কখনো ফাইনালে হারেনি। দ্বিতীয়বার ফাইনালে ওঠা বরিশালের তাই লক্ষ্য থাকবে নিজেদের কাজটা সেরে নেওয়ার মাধ্যমে প্রতিপক্ষকে বিপরীত স্বাদ দেওয়ার। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এসে তেমনটিও জানিয়েছেন মুশফিকুর রহিম।
বরিশালকে ফাইনালে ওঠাতে যার অবদান অনন্য, সেই মুশফিকও আবার দুবার বিপিএলের শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে খেলার সুযোগ পেলেও কখনো শিরোপা নিয়ে উদ্যাপন করতে পারেননি। সর্বশেষ বিপিএলে সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে ফাইনাল খেলেছেন। আর ২০১৯–২০ বিপিএলে তো খুলনা টাইগার্সকে নেতৃত্বই দিয়েছেন।
শিরোপার কাছে গিয়েও ছুঁয়ে দেখতে না পারার সেই আক্ষেপ এবার ঘোচাতে চান মুশফিক। গতকাল অপরাজিত ৪৭ রানের ইনিংস খেলে বরিশালকে ম্যাচ জেতানোর পর উইকেটরক্ষক ব্যাটার বলেছেন, ‘দেখা যাক, আমার তো ইচ্ছা আছে (চ্যাম্পিয়ন হওয়ার)। সবারই তো ইচ্ছা থাকে, বাকিটা ওপরওয়ালার ইচ্ছা। এত দূর এসেছি… ইনশা আল্লাহ আরেকবার খেলে চেষ্টা থাকবে যেন চ্যাম্পিয়নশিপটা নিতে পারি। কুমিল্লা কখনো হারেনি ফাইনালে। কে জানে, হয়তো এবারই প্রথম হারবে।’
টুর্নামেন্টের শুরু থেকে বরিশালের বিশ্বাস ছিল ফাইনালে খেলবে—এমনটি জানিয়েছেন মুশফিক। এমনকি দুঃসময়েও তারা বিশ্বাস হারাননি বলে জানিয়েছেন তিনি। ৩৬ বছর বয়সী ব্যাটার বলেছেন, ‘আপনারা কতটুকু বিশ্বাস করেছেন জানি না, তবে আমাদের প্রথম থেকেই বিশ্বাস ছিল যে আমরা প্লে অফ খেলব এবং ফাইনাল খেলব। সত্যি বলছি, যখন এমন একটা পরিস্থিতি ছিল যে আমরা হারলেই বাদ… তবে দেয়ালে পিঠ ঠেকলে কিন্তু সেরা সময় পারফর্ম করার। কারণ তখন হারানোর আর কিছু থাকে না। আমার কাছে মনে হয় এটা আমাদের কাছে প্লাস পয়েন্ট হয়ে এসেছে।’
সূত্র :আজকের পত্রিকা