০৩ জুলাই ২০২১, আজকের মেঘনা. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ
ভারতের ২০১১ বিশ্বকাপ জয়ী দলের সাবেক মনোবিদ প্যাডি আপটনের বলেছেন, ২০১১ বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগে শচিন টেন্ডুলকার, মহেন্দ্র সিংহ ধোনি এবং দলের অন্য ক্রিকেটারদের যৌন কর্মের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিলো।
সেই বিষয় নিয়ে অবশ্য তৎকালীণ মুখ্য প্রশিক্ষক গ্যারি কার্স্টেন তার বেশ চটেও গিয়েছিলেন। আপটন তার ‘দ্য বেয়ারফুট কোচ’ বইতে পুরো বিষয়টা তুলে ধরেছেন। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
সেই বইয়ের একটি অংশে আপটন লিখেছেন, ভারতে সেবার বিশ্বকাপ আয়োজিত হওয়ার জন্য দলের সবার ওপর প্রচণ্ড মানসিক চাপ ছিলো। বিশেষ করে ক্রিকেটারদের মানসিক ও শারীরিক অবস্থা বেশ খারাপ হয়ে যায়। তখন আমি ক্রিকেটারদের শুধু ম্যাচের আগে যৌন সংসর্গের পরামর্শ দিয়েছিলাম। তবে একাধিক ক্রিকেটার আমার পরামর্শ ভাল ভাবে নেয়নি। এমনকি গ্যারি পর্যন্ত বিষয়টা শোনার পর আমার ওপর খুব রেগে যান।
পরে অবশ্য নিজের ভুল বুঝতে পারি। ভারতীয় ক্রিকেটারদের যৌন সম্পর্কে যুক্ত হওয়ার পরামর্শ দেওয়া আমার বড় ভুল ছিলো। আসলে বুঝতে পারি এগুলো ভারতীয় সংস্কৃতির পরিপন্থী।
তবে এই ব্যাপারটা ২০১১ বিশ্বকাপের সময় শচিন, ধোনিদের কাছে সামনে এলেও ২০০৯ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতির সময় থেকেই তিনি টিম ইন্ডিয়ার ক্রিকেটারদের যৌনতার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তবে সিনিয়রদের কানে সেই বার্তা না যাওয়ায় বিতর্ক বড় আকার ধারণ করেনি। তবে ২০১১ সালের বিশ্বকাপ ও পরে তার বইয়ে এই ব্যাপারটা সামনে আসতেই এই ঘটনা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়।
শুধুমাত্র ভারতীয় দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে বিতর্কে জড়াননি। আইপিএল-এ রাজস্থান রয়্যালসের মনোবিদ থাকাকালীনও বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি।
২০১৩ সালের আইপিএল-এ স্পট ফিক্সিং কান্ডে নির্বাসিত হওয়া বোলার শ্রীশান্তের সঙ্গে সেই দলের তৎকালীন মুখ্য প্রশিক্ষক রাহুল দ্রাবিড়ের ঝামেলার কথাও এই বইতে লিখেছেন। আপটনের দাবি, সেবার আইপিএল চলার সময় দলে সুযোগ না পেয়ে শ্রীশান্ত নাকি দ্রাবিড়কে অশালীন মন্তব্য করেছিলেন।
২০১১ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে গৌতম গম্ভীরের লড়াকু ৯৭ রানের কথা সবাই জানে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার এই মানুষটি কিন্তু তার বইয়ে গম্ভীরের নিন্দা করেছেন। গম্ভীর সম্পর্কে তিনি লিখেছেন, গৌতম গম্ভীর মানসিক ভাবে নেতিবাচক, নিরাশাবাদী একজন মানুষ। সব সময় নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে।
যদিও ধোনি সম্পর্কে তিনি বেশ শ্রদ্ধাশীল। বিশ্বকাপ জয়ী সাবেক অধিনায়কের প্রশংসা করে লিখেছেন, ধোনির আসল দক্ষতা ওর ঠাণ্ডা মাথা। ম্যাচের পরিস্থিতি যাই হোক না কেন ও শান্ত থাকে।