২৯ এপ্রিল ২০২২,আজকের মেঘনা ডটকম, নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রস্তাবিত উপাত্ত সুরক্ষা আইনকে সাধুবাদ জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। পাশাপাশি আইনটির কিছু সীমাবদ্ধতার উল্লেখ করে উদ্বেগের কথাও জানিয়েছে সংগঠনটি। এই অবস্থায় আইনটি নিয়ে অধিক পর্যালোচনার জন্য মতামত দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে আসক।
বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এমন উদ্বেগের কথা জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আসক মনে করে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আইন যা প্রতিটি নাগরিক, প্রতিষ্ঠান তথা সমাজের প্রতিটি খাতের ওপর প্রভাব ফেলবে। তাই এমন জনগুরুত্বপূর্ণ আইন পাস করার আগে সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনের সঙ্গে উন্মুক্ত আলোচনা ও পর্যালোচনার প্রয়োজন রয়েছে। আগের বিভিন্ন আইন বিশেষত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮-এর নানা ধরনের অপব্যবহারের অভিজ্ঞতা থেকে আসক মনে করে, উপাত্ত সুরক্ষা আইন প্রয়োজন। তবে তা জনগণের অধিকার নিশ্চিতের দৃষ্টিকোণ থেকে প্রণয়ন করা উচিত। খসড়া আইনে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধারার সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞার অনুপস্থিতি, অস্পষ্টতার কারণে এটি ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকারসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে অপপ্রয়োগ ঘটার সমূহ সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে। আপাতদৃষ্টিতে প্রতীয়মান হয়েছে, এই খসড়া আইনের বেশ কিছু ধারা জনগণের সাংবিধানিক অধিকার, মৌলিক মানবাধিকার, তথ্যের অধিকার এবং এ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। একই সঙ্গে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এবং সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রচেষ্টার সঙ্গে এ ধরনের আইন সামঞ্জস্যপূর্ন নয়।
সম্প্রতি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ থেকে ‘উপাত্ত সুরক্ষা আইন-২০২২থ নামের একটি আইনের খসড়া তৈরি করা হয়েছে। খসড়া আইনটির ওপর অংশীজনদের মতামত সংগ্রহের জন্য এটি বিভাগের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে উন্মুক্ত করা হয় এবং সর্বসাধারণের পর্যবেক্ষণ, মতামত ও সুপারিশ প্রদানের জন্য আহ্বান জানানো হয়। মতামত ও সুপারিশ প্রদানের সময়সীমা ছিল ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত