২৯ এপ্রিল ২০২২,আজকের মেঘনা ডটকম, ডেস্ক রিপোর্ট :
হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে ভিক্টোরিয়া আসামি জেমস্কে লেখেন, ‘তুমি কথা না বললে আমার ভয় করে। মনে হয় এই বুঝি আমাকে ঠকিয়ে চলে গেলে তুমি।’
খবর -সংবাদ সংস্থা
ভার্জিনিয়া ২৯ এপ্রিল ২০২২
জেলবন্দি যুবকের জন্য মোবাইল ফোনের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন খোদ কারাপ্রধান। ঘটনাচক্রে তিনি আবার মহিলা! হোয়াটসঅ্যাপে দু’জনের মধ্যে হত মেসেজ চালাচালি। সেখানে যুবককে ‘অশালীন’ প্রস্তাব দেওয়ার অপরাধে আট মাসের জন্য জেলে যেতে হল ওই কারাপ্রধানকে! অভিযোগ, আসামিকে আপত্তিকর প্রস্তাব দেওয়ার পাশাপাশি তাঁকে ‘বেব’ বলে সম্বোধন করেছিলেন ৪৭ বছর বয়সী কারাপ্রধান ভিক্টোরিয়া লেথওয়েট। পাশাপাশি ফের জেল হয়েছে আসামি ওই যুবক জেমস্ চালমার্সেরও। ঘটনাস্থল ভার্জিনিয়া নর্থামশায়ারের এইচএমপি জেল।
গত বছরের মে মাসে নর্থামশায়ারের ওই জেল থেকে উদ্ধার হয় দু’টি মোবাইল ফোন। জেলের মধ্যে কী ভাবে এল মোবাইল ফোন? ফোনের হোয়াটসঅ্যাপ খুলতেই চোখ কপালে তদন্তকারীদের। একটি নম্বর তো স্বয়ং কারাগার প্রধানের! এর পর গ্রেফতার হন ভিক্টোরিয়া। দু’টি ফোনের হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথন থেকে উঠে আসে বন্দি আর কারাপ্রধানের সম্পর্কের কথা। যে সম্পর্ককে ‘অনৈতিক’ বলে বৃহস্পতিবার রায় দান করেন নর্থামশায়ার ক্রাউন কোর্টের বিচারক।
হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে ভিক্টোরিয়া আসামি জেমস্কে লেখেন, ‘তুমি কথা না বললে আমার ভয় করে। মনে হয় এই বুঝি আমাকে ঠকিয়ে চলে গেলে তুমি।’ এক জায়গায় আসামিকে ‘বেব’ বলেও সম্বোধন করেন তিনি। আদালতে সরকার পক্ষের তরফে অভিযোগ করা হয়, কারাপ্রধান আসামির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। তবে ভিক্টোরিয়ার আইনজীবী পাল্টা সওয়ালে এর বিরোধিতা করে জানান, এমন কিছুই হয়নি। তিনি জানান, তাঁর মক্কেল নিজের কাজের জন্য লজ্জিত। তিনি মুহূর্তের দুর্বলতায় স্বামী-সন্তান-সংসার— সব নষ্ট করে ফেলেছেন। তাঁকে মাফ করা হোক।
যদিও আদালতের পর্যবেক্ষণ, কারাপ্রধানের এমন কাজ ‘গর্হিত অপরাধ’ এবং এক রকমের ‘দুর্নীতি’ও বটে। বিশ্বাসভঙ্গ ছাড়াও আসামি ও কারা বিভাগের সম্পর্কের বেড়াজাল পেরিয়েছেন ভিক্টোরিয়া। তাই তাঁকে শাস্তি পেতে হবে। এর পর ভিক্টোরিয়াকে আট মাসের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।