পদ্মা সেতু পার হওয়ার মুহূর্তকে স্মরণীয় করে রাখতে শেওড়াপাড়া থেকে মোটরসাইকেল চালিয়ে সেতুতে ওঠেন রুবায়াত রুবা
২৬ জুন ২০২২ইং আজকের মেঘনা ডটকম, নিজস্ব প্রতিবেদক
পদ্মা সেতু রবিবার সকাল ৬টা থেকে সব ধরনের যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। অবিস্মরণীয় এই মুহূর্তের সাক্ষী হতে দুই পাড় থেকেই ছুটে এসেছেন অসংখ্য মানুষ। সেতুতে বেশি দেখা গেছে বাস, ট্রাক, মোটরসাইকেল, ব্যক্তিগত গাড়িসহ সব ধরনের যানবাহন।
রবিবার (২৬ জুন) সকালে পদ্মা সেতু পার হওয়ার মুহূর্তকে স্মরণীয় করতে রাখতে শেওড়াপাড়া থেকে মোটরসাইকেল চালিয়ে সেতুতে ওঠেন রুবায়াত রুবা।
মোটরসাইকেল আরোহী হিসেবে প্রথম পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়েছেন তিনি। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
অভিজ্ঞতা জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সকালে মিরপুরের শেওড়াপাড়া থেকে বাইক চালিয়ে এখানে এসেছি। অনেক আনন্দ লাগছে। এ অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।
তিনি আরও বলেন, আমি খুব এক্সাইটেড ছিলাম। যদিও রাস্তায় অনেক জ্যাম ছিল, কিন্তু অন্য হাইওয়েতে যেরকম ভিড় থাকে, এখানেও সেরকমই ছিল। সময় বেশি লাগেনি, যেহেতু বাইকের একটা আলাদা সারি আছে।রবিবার ভোর থেকেই মাওয়া প্রান্তে সেতু পারাপারের জন্য অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে অসংখ্য মানুষকে। টোল দিয়ে সেতু পার হচ্ছেন তারা।এদিকে, ২৩ জুন পদ্মা সেতুতে মেনে চলার জন্য বেশ কিছু নিয়ম উল্লেখ করে একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। গণবিজ্ঞপ্তিতে সেতু ব্যবহারকারীদের জন্য বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনাগুলো হলো:
-পদ্মা সেতুর ওপর অনুমোদিত গতিসীমা ৬০ কিলোমিটার/ঘণ্টা।
-পদ্মা সেতুর ওপর যেকোনো ধরনের যানবাহন দাঁড়ানো এবং যানবাহন থেকে নেমে সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে ছবি তোলা বা হাঁটা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।
-তিন চাকা বিশিষ্ট যানবাহন (রিকশা, ভ্যান, সিএনজি, অটোরিকশা ইত্যাদি), পায়ে হেঁটে, সাইকেল বা নন-মটোরাইজড গাড়িযোগে সেতু পারাপার হওয়া যাবে না।
-গাড়ির বডির চেয়ে বেশি চওড়া এবং ৫.৭ মিটার উচ্চতার চেয়ে বেশি উচ্চতার মালামালসহ যানবাহন সেতুর ওপর দিয়ে পারাপার করা যাবে না।
-সেতুর উপর কোনো ধরনের ময়লা ফেলা যাবে না।
পদ্মা সেতু একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় স্থাপনা বিধায় বিজ্ঞপ্তিতে সেতু পারাপারে সর্বসাধারণকে উপরোক্ত নির্দেশনা মেনে চলার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।